অপেক্ষা

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১ ও ২ নম্বর প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

দুজনে দুবোনের কোলে রাইফেল দুটো দিয়ে দেয়। রাইফেল দুটো ওরা কোলে নিয়ে বসে থাকে। মা রান্না চড়ায়। কিছুক্ষণ পর রাহেলা গরম ভাত নিয়ে আসে গামলা ভরে। সঙ্গে ডিম-আলুর তরকারি। যোদ্ধা দুজন গপগপিয়ে খায়। দেরি করার সময় নেই। নদীর ঘাটে ওদের জন্য নৌকা নিয়ে বসে আছে অন্যরা। দেরি করা চলবে না। খাওয়া শেষ হলে রাহেলা বলে, তোমরা আবার আসবে তো? দরকার হলে আসতে পারি। নইলে অন্যেরা আসবে। কেউ না কেউ আসবে। রাহেলা বানুকে সালাম করে দুই বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে চলে যায় মুক্তিযোদ্ধারা।

১. নিচের শব্দগুলোর অর্থ লেখো।

রাইফেল, কিছুক্ষণ, গামলা, যোদ্ধা, সালাম, দরকার, মুক্তিযোদ্ধা

উত্তরঃ

রাইফেল-------একধরনের অস্ত্র

কিছুক্ষণ-------অল্প সময়

গামলা-------খাবার রাখার একধরনের পাত্র

যোদ্ধা-------যে যুদ্ধ করে

সালাম-------শান্তি কামনা

দরকার-------প্রয়োজন

মুক্তিযোদ্ধা-------মুক্তির জন্য যুদ্ধ করেন যিনি

২. নিচের প্রশ্নগুলো উত্তর লেখো।

ক. মুক্তিযোদ্ধাদের খাওয়ানোর জন্য কী খাবার ব্যবস্থা করা হয়?

উত্তর: মুক্তিযোদ্ধাদের রান্না করে দেবার জন্য রাহেলা বানু মাটির কলসিতে চাল জমিয়ে রাখে। রুবা আর রুমা শুকনা লাকড়ি কুড়িয়ে এনে রান্নাঘরে রাখে।

খ. যোদ্ধা দুজন গপগপিয়ে খাচ্ছিল কেন? চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: যোদ্ধা দুজনকে গরম ভাত ও ডিম আলুর তরকারি পরিবেশন করা হয়েছিল। তারা তা গপগপিয়ে খেতে থাকে। কেননা তাদের জন্য অন্য মুক্তিযোদ্ধারা নদীর ঘাটে নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করছিল। তাই তাদের ধীরেসুস্থে খাওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না।

গ. রাহেলা বানু কেন মুক্তিযোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ায়? চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: রাহেলা বানু একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে তার স্বামীর মৃত্যু হয়। আর তাই মুক্তিযোদ্ধাদের রান্না করে খাওয়ানোর মাধ্যমে তিনি তাদের সাহায্য করতে চান। তিনি মনে করেন, মুক্তিযোদ্ধারাই একদিন দেশ স্বাধীন করবে।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্​স লিট্​ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন

পঞ্চম শ্রেণি - বাংলা । পাঠ্য বইসম্পৃক্ত অনুচ্ছেদ - মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী