পঞ্চম শ্রেণি - বাংলা | ময়নামতি - রচনা (২)

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

ময়নামতি

ভূমিকা

ময়নামতি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের উঁচু ভূমিতে অবস্থিত। ময়নামতিতে আনন্দবিহার আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে। এখানে বৌদ্ধ সভ্যতা ও হিন্দুধর্মের বহু নিদর্শন পাওয়া যায়।

অবস্থান

কুমিল্লা শহর থেকে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে কোটবাড়ি এলাকায় ময়নামতি আনন্দবিহার অবস্থিত। বিহারটি নির্মিত হয় অষ্টম শতাব্দীতে।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী ময়নামতির নামে এ স্থানের নাম হয়েছে। অষ্টম শতাব্দীর কোনো এক সময় প্রথম দেব বংশের তৃতীয় শাসক আনন্দ দেব এটি নির্মাণ করেন।

আবিষ্কৃত নিদর্শনসমূহ

আনন্দবিহারে বৌদ্ধ সভ্যতার নিদর্শন ও হিন্দুধর্মের বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। এগুলো সংরক্ষণের জন্য এখানে একটি সুন্দর জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর বাইরের প্রাচীর ও ভেতরে বারান্দার দেয়াল নকশা করা ইট দিয়ে তৈরি। এখানে পাওয়া গেছে অসংখ্য রৌপ্যমুদ্রা, ব্রোঞ্জমূর্তি, পোড়ামাটির ভাস্কর্য, ফলক এবং মৃত্পাত্র ছাড়াও আরও অনেক কিছু।

ঐতিহাসিক নিদর্শন

আনন্দবিহার বাংলার তথা বিশ্বের প্রাচীন ইতিহাস উপস্থাপন করে। সে জন্য এর গুরুত্ব অনেক। আন্তর্জাতিক ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি ও নির্দশনের অন্তর্ভুক্ত এই ময়নামতি আনন্দবিহার।

উপসংহার

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের ইতিহাস নির্ভর করে তার পুরাতন সভ্যতা, পুরাকীর্তি ও নিদর্শনের ওপর। এটি আবিষ্কৃত হওয়ার পর বাংলার প্রাচীন ইতিহাস আরও বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্​স লিট্​ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

◀ বাংলাদেশের জাতীয় কবি - রচনা (১)