অধ্যায় ৮
১. প্রশ্ন: নারীদের জন্য কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা কেন?
উত্তর: বিভিন্ন কারণে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় বিদ্যালয়ের পাঠ শেষ না করে পড়াশোনা বন্ধ করে দেয় বা ঝরে পড়ে। এ অবস্থায় দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। নারীদের উন্নয়ন মানে সমাজের তথা দেশের উন্নয়ন।
নারীদের কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজন। কারণ হলো:
১. প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুর মানসিক, দৈহিক ও নৈতিক চরিত্রের বিকাশ ঘটবে।
২. কমপক্ষে প্রাথমিক শিক্ষায় শিক্ষিত নারী কুসংস্কার ও অশিক্ষা থেকে পরিবারকে সচেতন করতে পারবেন।
৩. মা যদি শিক্ষিত হন তবে তাঁর সন্তানদের পাঠদান তৈরিসহ সন্তানকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারবেন।
৪. দারিদ্র্য বিমোচনে নানা রকম প্রশিক্ষণ নিয়ে পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা করতে পারবেন।
৫. একটি দেশের জাতি গঠনে নারী শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে পরিবারের কন্যাসন্তানটিকেও ছেলেসন্তানের সঙ্গে লেখাপড়ায় উৎসাহিত করতে পারেন।
২. প্রশ্ন: নারী নির্যাতন মানুষ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। নারী নির্যাতনের নেতিবাচক প্রভাবগুলো কী?
উত্তর: বিশ্বে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতিত হয়। ফলে নারীর মানবাধিকার খর্ব হয়। সমাজে নারী নির্যাতনের প্রভাব অনেক ক্ষতিকর। যেমন—
১. পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতন হলে নির্যাতিত নারীর শারীরিক, মানসিক ক্ষতি হয়।
২. যেসব পরিবারের নারীরা নির্যাতনের শিকার হন, যেসব পরিবারের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
৩. নির্যাতিত নারী সময়মতো কাজে যেতে পারেন না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
৪. পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতনের একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুক দিতে হয় বলে মেয়েশিশুকে পরিবারের বোঝা মনে করা হয়।
৫. রাস্তাঘাটে, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথেও মেয়েরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মেয়েদের মানসিক বিকাশে।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা