এসএসসির খাতায় ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং প্রশ্নের উত্তর চাই যথাযথ
পাঠ্যবইয়ের প্রতিটি অধ্যায় ভালো করে পড়লেই উত্তর দেওয়া সম্ভব। উত্তর সঠিক হলো কি না, সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
ক তথা জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর এক লাইনেও হতে পারে, আবার এক শব্দেও হতে পারে। উত্তর সঠিক হলে ১ নম্বর আর না হলে ০ পাবে। এখানে নম্বর কম–বেশি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই যেমন কোম্পানি আইন কত সালের? উত্তর হবে–১৯৯৪ সালের। সিলেবাস থিওরি ও গণিতের সমন্বয়ে গঠিত। তাই এর উদ্দীপক গ্রাফ, তথ্য, চিত্র, বিবৃতি ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ের আলোকে তৈরি করা যায়।
খ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন, এখানে নম্বর থাকবে ২। এখানে উদ্দীপকের আলোকে প্রশ্নটি অনুধাবন করতে পেরেছ কিনা সেটা যাচাই করা হবে।
গ নম্বর প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থী শুধু উদ্দীপকের তথ্যটুকুই ব্যবহার করে। মনে রাখতে হবে, কোনো উদ্দীপকে তথ্যের সারাংশ ব্যবহার করা হয় মাত্র। উত্তর লেখার সময় তোমাকে উদ্দীপকের তথ্যের সূত্র ধরে বিস্তারিত তথ্য ব্যবহার করতে হবে এবং তথ্যের আলোকে যুক্তি ও প্রমাণ প্রস্তুত করে ‘গ’ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ‘গ’ প্রশ্নের উত্তরের জন্য তোমাকে নির্দিষ্ট বিষয়ে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হবে।
‘ঘ’ প্রশ্নের উত্তরের জন্য তোমাকে মুক্ত করে দেওয়া হবে এবং এই প্রশ্নের উত্তরের শেষের দিকে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। এখানে যুক্তি ও প্রমাণের আলোকে তুমি মুক্ত আলোচনা করতে পারবে। এ প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্যক্তির ভিন্ন উত্তর হতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তুমি যে মতামত দেবে, তার ওপর সঠিক যুক্তি ও প্রমাণ দেখাতে পারলেই তোমার উত্তর সঠিক হবে। উদ্দীপকে যদি চিত্র বা গ্রাফ দেওয়া থাকে, তাহলে উত্তর লেখার সময় তুমিও চিত্র বা গ্রাফ ব্যবহার করবে। গ ও ঘ প্রশ্নের জন্য গাণিতিক প্রশ্নই থাকে অধিকাংশ সময়। বর্তমান মূল্য, ভবিষ্যৎ মূল্য, প্রকৃত সুদের হার, আদর্শ বিচ্যুতি, গড় মুনাফার হার, পে–ব্যাক সময় ইত্যাদি সূত্র মনে রাখা জরুরি।
মো. শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র শিক্ষক, ঢাকা ক্যান্ট. গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ