আজ ঐতিহাসিক গণ–অভ্যুত্থান দিবস

গণ–অভ্যুত্থানের সেই সব উত্তাল দিন, ১৯৬৯। ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি। পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন সংঘটিত হয়। ইতিহাসে এটি ‘উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান’ নামে পরিচিত। সব গণতান্ত্রিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও মানুষ যার যার অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়। আন্দোলনের ঘটনাক্রমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুজ্জামান আসাদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. শামসুজ্জোহা শহিদ হন। ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ তখন রাস্তায় নেমে আসে।

গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্র মতিউর। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। অন্য নেতৃবৃন্দকেও মুক্তি দেওয়া হয়। ‘ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা’ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তদানিন্তন ডাকসুর ভিপি ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

১৯৬৯ সালের গণ–অভ্যুত্থানের ফলে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নতুন সামরিক সরকার বাধ্য হয় ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন দিতে। গণ–অভ্যুত্থানের ফলে পূর্ব বাংলার জনগণের মধ্যে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভাবাদর্শে এসব অর্জন সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন