প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ | প্রাথমিক বিজ্ঞান (১)

অধ্যায় ১২ থেকে বর্ণনামূলক প্রশ্নোত্তর :

১. প্রশ্ন: জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানো কীভাবে সম্পর্কিত?

উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হলো বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। সুতরাং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের নির্গমন কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে পারি। এ জন্য কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানিশক্তি যেমন– সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। এছাড়া বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাস করতে পারি।

দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ব্যবহার কমিয়েও আমরা কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন কমাতে পারি। অন্যদিকে পরিবর্তিত জলবায়ুতে বেঁচে থাকার জন্য গৃহীত কর্মসূচিই হলো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজন। অভিযোজনের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি কমানো ও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।

এ কারণেই জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমানো এবং এর সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়টি পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।

২. প্রশ্ন: কীভাবে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি?

উত্তর: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রধান কারণ হচ্ছে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি। সুতরাং বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হার কমাতে পারি। এ জন্য কয়লা, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি প্রভৃতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ হ্রাস করতে পারি। এসব কর্মকাণ্ড দীর্ঘমেয়াদি জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাস করতে সহায়তা করে।

৩. প্রশ্ন: পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল কীভাবে গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করে?

উত্তর: শীতপ্রধান দেশে কাচের ঘর বানিয়ে বিভিন্ন গাছপালা লাগানো হয়। এ ধরনের ঘরকে গ্রিনহাউস বলে। এই ঘর তার ভেতরে সূর্যের তাপকে আটকে রাখে। ফলে তীব্র শীতেও গাছপালা এই ঘরের ভেতর উষ্ণ ও সজীব থাকে। কাচের ঘরের ভেতর এভাবে তাপ থেকে যাওয়ার বিষয়টিকে গ্রিন হাউসের প্রভাব বলে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলও গ্রিনহাউসের মতো কাজ করে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন ও জলীয় বাষ্প গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করে। এই গ্যাসগুলো সূর্যের তাপ পৃথিবীতে আসতে কোনো বাধা সৃষ্টি করে না। ফলে পৃথিবী সূযের্র তাপে উত্তপ্ত হয়। এতে করে বায়ুমণ্ডলে তাপ জমা হতে থাকে এবং পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল গ্রিনহাউসের কাচের মতো কাজ করায়, একে গ্রিনহাউসের সঙ্গে তুলনা করা হয়।

মো. আবু সুফিয়ান, শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন