এইচএসসি - জীববিজ্ঞান ১ম পত্র | অধ্যায় ১০ : সৃজনশীল প্রশ্ন

অধ্যায় ১০

সৃজনশীল প্রশ্ন

প্রশ্ন

ক. প্রজনন কাকে বলে?

খ. অ্যাপোস্পোরি বলতে কী বোঝায়?

গ. R অংশটি কীভাবে তৈরি হয়? ব্যাখ্যা করো।

ঘ. P ও Q এর মধ্যে কোনটি শুক্রাণু তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে? মতামত দাও।

উত্তর

ক. যে প্রক্রিয়ায় জীব তার অপত্য বংশধর সৃষ্টি করে, তাকে প্রজনন বলে।

খ. ডিম্বকের যেকোনো দেহকোষ (যেমন ডিম্বকত্বক, নিউসেলাস) থেকে ডিপ্লয়েড ভ্রূণথলির সৃষ্টি হতে পারে। ডিম্বকের দেহকোষ থেকে সৃষ্ট ডিপ্লয়েড ভ্রূণথলির ডিপ্লয়েড ডিম্বাণু থেকে নিষেক ছাড়াই ভ্রূণ সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে অ্যাপোস্পোরি বলে। অ্যাপোস্পোরি প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট উদ্ভিদ ডিপ্লয়েড হয় এবং মাতৃ উদ্ভিদের সমগুণসম্পন্ন হয়। Hieracium উদ্ভিদে এরূপ দেখা যায়।

গ. R অংশটি হলো ডিম্বাণু। এটি মায়োসিস ও মাইটোসিস প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে ডিপ্লয়েড স্ত্রীরেণু মাতৃকোষ থেকে মায়োসিস প্রক্রিয়ায় চারটি হ্যাপ্লয়েড স্ত্রীরেণু গঠিত হয়। এদের মধ্যে ওপরের তিনটি নষ্ট হয়ে যায় এবং নিচেরটি কার্যকর থাকে। কার্যকর স্ত্রীরেণুর নিউক্লিয়াসটি মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে দুটি নিউক্লিয়াসে পরিণত হয়। নিউক্লিয়াস দুটি স্ত্রীরেণু কোষের দুই মেরুতে অবস্থান করে। প্রতিটি মেরুর নিউক্লিয়াস পরপর দুবার বিভাজিত হয়ে চারটি করে নিউক্লিয়াস গঠন করে। প্রতিটি নিউক্লিয়াস অল্প সাইটোপ্লাজম এবং হালকা প্রাচীর দ্বারা আবৃত থাকে।

চিত্র: ডিম্বাণু তৈরির ধাপ

এ সময় স্ত্রীরেণুকোষটি দুই মেরুযুক্ত একটি থলির ন্যায় অঙ্গে পরিণত হয় এবং প্রতি মেরুতে ৪টি করে মোট ৮টি নিউক্লিয়াস থাকে। এ অবস্থায় প্রতি মেরু থেকে একটি করে নিউক্লিয়াস থলির মাঝখানে চলে আসে এবং পরস্পর মিলিত হয়ে থাকে। এটাকে বলা হয় সেকেন্ডারি নিউক্লিয়াস। ভ্রূণথলির যে মেরু ডিম্বকরন্ধ্রের দিকে থাকে, সে মেরুর তিনটি নিউক্লিয়াসকে একত্রে ডিম্বাণু যন্ত্র বলে। ডিম্বাণু যন্ত্রের মাঝখানের নিউক্লিয়াসটি বড় থাকে। একে ডিম্বাণু বলে। এভাবে R অংশটি (ডিম্বাণু) তৈরি হয়।

ঘ. P ও Q এর মধ্যে P অংশটি শুক্রাণু তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

P চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি ছোট এবং Q চিহ্নিত নিউক্লিয়াসটি আকারে বড়। কাজেই P হচ্ছে জনন নিউক্লিয়াস এবং Q নালিকা নিউক্লিয়াস। পরাগরেণু অঙ্কুরিত হলে ইন্টাইন বৃদ্ধি পেয়ে জার্মপোর দিয়ে নালিকার আকার বাড়তে থাকে। একে পরাগনালিকা বলে। পরাগনালিকায় প্রথমে Q (নালিকা নিউক্লিয়াস) ও পরে P (জনন নিউক্লিয়াস) প্রবেশ করে। নালিকাটি গর্ভদণ্ডের ভেতর দিয়ে ক্রমে বাড়তে থাকে এবং গর্ভাশয়ের ভেতরে ডিম্বকরন্ধ্র পর্যন্ত যায়। অপর দিকে P (জনন নিউক্লিয়াস) মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় বিভাজিত হয়ে দুটি পুংগ্যামেট বা শুক্রাণু সৃষ্টি করে। নিচে প্রক্রিয়াটি চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো:

চিত্র: শুক্রাণু তৈরির বিভিন্ন ধাপ

ওপরের আলোচনা হতে প্রতীয়মান হয় যে শুক্রাণু তৈরিতে P অংশটি (জনন নিউক্লিয়াস) মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

মোহাম্মদ আক্তার উজ জামান, প্রভাষক, রূপনগর সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

অধ্যায়৯এরসৃজনশীলপ্রশ্ন