এমপিওভুক্তির মিথ্যা তথ্যে আরেক প্রতিষ্ঠানে আবেদন শিক্ষকের, এনটিআরসিএর নোটিশ

এনটিআরসিএ

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিও পদে থাকার পরও মিথ্যা তথ্য দিয়ে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) বরাবর আবেদন করেছেন একজন প্রার্থী। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এনটিআরসিএ। ইতিমধ্যে তাঁর ঠিকানায় কারণ দর্শানোর চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

মিথ্যা তথ্য দেওয়া প্রার্থীর নাম মো. সরোয়ার। তিনি পিরোজপুরের দেবীপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

গত ১৮ মে এনটিআরসিএর এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৃতীয় নিয়োগ চক্রের আওতায় যাঁরা এমপিও পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু পদসংক্রান্ত জটিলতা, জাতীয়করণ, ভুল চাহিদা ইত্যাদি কারণে এমপিওভুক্ত হতে পারেননি কিংবা সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি, তাঁদের নির্ধারিত একটি ছকে তথ্য/প্রমাণসহ আবেদন করতে বলা হয়েছিল। মো. সরোয়ার গত ২২ জুন নির্ধারিত ছক পূরণ করে আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি বলেছেন, তাঁর পদটি নবসৃষ্ট, এ জন্য এমপিও পাননি।

অথচ তাঁর এমপিও-সংক্রান্ত বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়, তিনি আগেই এমপিওভুক্ত হয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন। তিনি অসত্য তথ্য দিয়ে অন্যায়ভাবে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন, যা বেআইনি।

এনটিআরসিএর নোটিশ

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও পদে যোগদান করে বেতন গ্রহণ করে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছেন, যা অসদাচরণের শামিল। অসত্য তথ্য উপস্থাপনের দায়ে কেন তাঁর নিয়োগ সুপারিশপত্র বাতিল করা হবে না এবং তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে না, তাঁর জবাব পত্রপ্রাপ্তির ১০ কর্মদিবসের মধ্যে দিতে বলেছে এনটিআরসিএ।