ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের ১১তম ব্যাচের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নবীন ও সম্মাননা পাওয়া শিক্ষার্থীরাছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে

রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আজ মঙ্গলবার নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা নবাগত দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এরপর শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয়।

আজ সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি সব মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সরোয়ার বারীর সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি অনলাইনে যোগ দেন।

এ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নবাগত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ডা. উত্তম কুমার পাল সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তীর পক্ষে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন হাসপাতালের পরিচালক (মেডিকেল সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. এ কে মাহবুবুল হক। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান ভূঁইয়া। বক্তারা নতুন শিক্ষার্থীদের ভালো চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি ভালো মানুষ হওয়ার ওপর গুরুত্ব দেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান একাডেমিক কো-অর্ডিনেটর ডা. ফজলুল করিম এবং একাডেমিক পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্তভাবে উপস্থাপন করেন মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ফেজ কো-অর্ডিনেটররা। অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস প্রফেশনাল পরীক্ষায় (নভেম্বর ২০২৪) অনার্স মার্ক অর্জনকারী ধীরাজ স্ট্যানলি (ভারত), সানজিদা কবির (বাংলাদেশ), সোনিকা থাপা (নেপাল) ও ওয়ানিমা তাবাসসুমকে (বাংলাদেশ) বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়।

নবীনবরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। এরপর শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপহার বিতরণ করা হয়।