মারমা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গিরিকন্যা’ উদ্বোধনী প্রদর্শনী

মারমা ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ

সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের নিদর্শন হিসেবে মারমা ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গিরিকন্যা’ ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। মারমা ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশের মারমা সম্প্রদায়কে নিয়ে এই প্রথম একটি কাহিনিনির্ভর চলচ্চিত্র নির্মিত হলো। বাংলাদেশের মানুষের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অনন্য নিদর্শন হিসেবে মারমা ভাষার এই চলচ্চিত্র ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। আমি এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ভীষণ উৎসাহিত হয়েছি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চাকমা ও সাঁওতাল ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করার জন্য আমি উদ্যোগ নেব।’
গতকাল শুক্রবার আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন ইতিহাসবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার মুনতাসীর মামুন। অনুষ্ঠানে ‘গিরিকন্যা’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও কাহিনিকার চিকিৎসক মং উষা থোয়াই চলচ্চিত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পৃক্ততার কারণ তুলে ধরেন।

‘গিরিকন্যা’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ

‘গিরিকন্যা’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা প্রদীপ ঘোষ চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এই চলচ্চিত্রে কোনো তারকা শিল্পী নেই। আছে পাহাড়ের মানুষের ভালোবাসা, প্রকৃতিপ্রেম আর দৃঢ়তা। মারমা জনগোষ্ঠীর প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার অঙ্গীকার নিয়ে মারমা ভাষায় প্রথম চলচ্চিত্র “গিরিকন্যা”। বাংলাদেশে বসবাসরত সব জনগোষ্ঠীর ভাষাকে রক্ষা করতে আমরা আরও চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।’
অনুষ্ঠানে আরও আলোচনা করেন জহির রায়হান ফিল্ম ইনস্টিটিউটের সভাপতি নাট্যজন শংকর সাঁওজাল এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কামালউদ্দিন আহমেদ। আয়োজনের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির।