'রেস থ্রি'র সঙ্গে কেমন লড়ছে 'সুলতান' ও 'ভাইজান এলো রে'?

কলকাতার বিজলি সিনেমা হলে সুলতান ও ভাইজান এলো রে ছবি চলছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি, রেস থ্রি ছবিতে সালমান খান
কলকাতার বিজলি সিনেমা হলে সুলতান ও ভাইজান এলো রে ছবি চলছে। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি, রেস থ্রি ছবিতে সালমান খান

ঈদ উপলক্ষে ১৫ জুন কলকাতাসহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল তিনটি ছবি। এগুলো হলো বাংলাদেশের ঢালিউড তারকা শাকিব খানের ‘ভাইজান এলো রে’, টালিউড তারকা জিৎ ও বাংলাদেশের বিদ্যা সিনহা মিমের ‘সুলতান-দ্য স্যাভিয়ার ’এবং বলিউড তারকা সালমান খানের হিন্দি ছবি ‘রেস থ্রি’। তিনটি ছবি মুক্তির এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। এই এক সপ্তাহ বাংলাদেশের শিল্পীরা কেমন করে বলিউড আর টালিউড শিল্পীদের টেক্কা দিয়েছেন, তা জানতে ঢুঁ মারা হয়েছিল কলকাতার কিছু প্রেক্ষাগৃহে। সেখানে গিয়ে দেখা গেল একেক প্রেক্ষাগৃহে একেক রকম দৃশ্য।

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভারতের কলকাতা শহরে এখনো হিন্দি ছবির বাজার ভালো। বাঙালিরাও বাংলা ছবি রেখে হিন্দি ছবি দেখতে অভ্যস্ত। তবে গ্রামের দিকের সিনেমা হলগুলোর চিত্র ভিন্ন। সেখানে এখনো বাংলা ছবির চাহিদা বেশি। ফলে ১৫ জুন থেকে গতকাল ২৫ জুন ধরেই পশ্চিমবঙ্গজুড়ে সমানতালে চলছে ঈদের তিনটি ছবি।

শাকিব খানের বাংলা ছবি ভাইজান এলো রে মুক্তি পেয়েছে কলকাতার ৭৫টি প্রেক্ষাগৃহে। শাকিব খান বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনেতা হলেও সেভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের আলোয় আসতে পারেননি এখনো। তবে কলকাতা শহরে শাকিব খান ধীরে ধীরে এখন খ্যাতি অর্জন করছেন, বাড়ছে জনপ্রিয়তা। তাই তো ভাইজান এলো রে ছবির প্রচারের জন্য প্রযোজনা সংস্থা এতটুকু কার্পণ্য করেনি। বিভিন্ন সিনেমা হলের সামনে শাকিবের বড় বড় ব্যানার টানিয়েছে। রাস্তায় পোস্টার লাগিয়েছে। চেষ্টা চালিয়েছে রেস এবং সুলতান-এর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি পাল্লা দিতে। কিন্তু ফলাফল সেভাবে আসেনি। হিন্দি ছবি বলে রেস থ্রিই শেষ নাগাদ এগিয়ে আছে।

তবে তুমুল প্রতিযোগিতা চলছে জিতের সুলতান-এর সঙ্গে শাকিবের ভাইজান এলো রের। কথা হচ্ছিল বারাসাতের আরতি মাল্টিপ্লেক্সের ম্যানেজার সুরজিৎ দাসের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এখন বাংলা ছবির বাজার ততটা নেই কলকাতায়। বাঙালিরাই দেখেন না বাংলা ছবি। তাঁরা অভ্যস্ত হিন্দি ছবিতে। তাই আমরা মাল্টিপ্লেক্সে রেস থ্রি ছবির প্রতিদিন ছয়টি প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি। বাংলা ছবির জন্য রেখেছি একটি শো।’

জানা গেছে, সুলতান-দ্য স্যাভিয়র ১৪২টি প্রেক্ষাগৃহে প্রথম ছয় দিনে ১ কোটি ৪৮ লাখ রুপি আয় করেছে। আর ভাইজান এলো রে ৭৫টি প্রেক্ষাগৃহ থেকে আয় করেছে ১ কোটি ৯ লাখ রুপি। আর রেস থ্রি ছবিটি শুধু পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম সপ্তাহে আয় করেছে ৬ কোটি ৮১ লাখ রুপি।

বারাসাতের মাল্টিপ্লেক্সে সুলতান-দ্য স্যাভিয়র দেখতে আসা বিরাটির অঙ্কিতা দত্ত চৌধুরী বলেন, ‘আমি বরাবরই বাংলা ছবির ভক্ত। শুনেছি বাংলাদেশের সেরা নায়ক শাকিব খানের একটি ছবিও মুক্তি পেয়েছে কলকাতায়। আমাদের এলাকায় এলে সেটাও নিশ্চয়ই দেখব।’ বিজলি সিনেমা হলে ভাইজান এলো রে ছবি দেখতে এসেছিলেন দক্ষিণ কলকাতার বাঁশদ্রোনির সংঘমিত্রা রায়। তিনি বলেন, ‘শাকিব খান আমার প্রিয় শিল্পী। তাই তো সেই টানে ছুটে এলাম। ওর অভিনয় আমার খুব ভালো লাগে।’ একই ছবি নিয়ে ভবানীপুরের শুভংকর দে বলেন, ‘রোববার ছুটির দিন। বাংলা ছবির প্রতি আমার একটা টান আছে। আর শাকিব খান তো বাংলাদেশের এক নম্বর হিরো। তাঁর অভিনয় দেখার জন্য এলাম।’