৩৫ বছরে ক্যামেরন-শোয়ার্জেনেগারের 'দ্য টার্মিনেটর'

‘টার্মিনেটর’–রূপী আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার
‘টার্মিনেটর’–রূপী আর্নল্ড শোয়ার্জেনেগার
ধ্বংসের দোরগোড়ায় থাকা পৃথিবী, ভবিষ্যৎ থেকে আসা যন্ত্রমানব আর শক্তিশালী নারী চরিত্র—জেমস ক্যামেরনের কাল্ট সাই-ফাই থ্রিলার দ্য টার্মিনেটর আশির দশকের হলিউডকে পুরো উল্টেপাল্টে রেখে দিয়েছিল। ‘টার্মিনেটর’ ফ্রাঞ্চাইজির জন্ম যে সিনেমা থেকে, সেই দ্য টার্মিনেটর ছবিটি মুক্তির ৩৫ বছর পার করল ২৬ অক্টোবর। এই বর্ষপূর্তি নিয়ে এবারের আয়োজন।

৩৫তম বছরে আসছে ৬ নম্বর ‘টার্মিনেটর’
যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে মানবজাতির নিষ্ঠুর পরিণতি নিয়ে গত শতকের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সিনেমা দ্য টার্মিনেটর। ১৯৮৪ সালে মুক্তি পরই বক্স অফিসে ছবিটি দারুণ আলোড়ন তোলে। সেই থেকে এই ফ্রাঞ্চাইজির আরও ৪টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র দেখেছে বিশ্ববাসী। ২০১৯ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা ফ্রাঞ্চাইজির ষষ্ঠ কিস্তি টার্মিনেটর: ডার্ক ফেইট, যেটি পরিচালনা করেছেন ডেডপুল (২০১৬) ও লাভ, ডেথ অ্যান্ড রোবোটস (২০১৯) খ্যাত নির্মাতা টিম মিলার। টার্মিনেটরকে ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে টিভি ও ওয়েব সিরিজ, ভিডিও গেমস, কমিক বুক ও গ্রাফিক নভেল, এমনকি রয়েছে টি টু নামের এটি উপন্যাসের ট্রিলোজি।

‘আই উইল বি ব্যাক’
ধুমধাড়াক্কা অ্যাকশন দৃশ্য আর বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির আড়ালে মানবসম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়, ব্র্যাড ফিডেলের আবহ সংগীত, টি-৮০০ টার্মিনেটরের কদাকার রূপ আজও শিহরন জাগায় সিনেমাপ্রেমীদের মনে। টার্মিনেটররূপী আনর্ল্ড শোয়ার্জেনেগারের কণ্ঠে সেই ‘আই উইল বি ব্যাক’ সংলাপ তো পশ্চিমা চলচ্চিত্র ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। শোয়ার্জেনেগারের ব্যক্তিত্ব ও পেশিবহুল শরীরকে সবচেয়ে চমৎকার ও দূরদর্শিতার সঙ্গে জেমস ক্যামেরন এই সিনেমার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলেন পর্দায়। যে সময়ে সবাই আর্নল্ডের রোবটিক চেহারার গড়ন আর আড়ষ্ট অভিনয় নিয়ে হাসাহাসি করতেন, তখন ক্যামেরনই এই দুবর্লতাগুলোকে কাজে লাগিয়েছেন টার্মিনেটর সিনেমায়।

গল্পই ছবির তারকা
তবে, এই সিনেমার প্রকৃত তারকা হচ্ছে এর গল্প বা প্লট। হরর, স্ল্যাশার, থ্রিলার, সাইফাই, অ্যাকশন—নানান ঘরানার তুখোড় মিশ্রণ দ্য টার্মিনেটরকে কাল্ট হিসেবে গড়ে তুলেছে। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও নান্দনিক উৎকর্ষের কারণে ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ফিল্ম রেজিস্ট্রিতে অন্তর্ভুক্ত করেছে দেশটির লাইব্রেরি অব কংগ্রেস। ফ্রাঞ্চাইজির দ্বিতীয় সিনেমা টার্মিনেটর টু: দ্য জাজমেন্ট ডে ১৯৯২ সালে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডের আসরে ৬টি মনোনয়ন পেয়ে জিতে নেয় ৪টি অস্কার। প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষের ভোটে আইএমডিবির সেরা ২৫০ সিনেমার তালিকায় জায়গা করে নেওয়া এই ছবির রেটিং ৮। রটেন টমাটোতে এই ছবি ১০০ ভাগ ফ্রেশ রেটিং পাওয়া, যা বুঝিয়ে দেয় দর্শকমহলে এর শক্তিশালী অবস্থানের বিষয়টি।