শর্মিলার মনের মতো বউমা কারিনা কাপুর

‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর ও কারিনা কাপুর খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’ অনুষ্ঠানে শর্মিলা ঠাকুর ও কারিনা কাপুর খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

কারিনা কাপুরের জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’-এর দ্বিতীয় সিজনের প্রথম অতিথি ‘সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা’ শর্মিলা ঠাকুর। শাশুড়িকে নিজের শোতে পেয়ে প্রথমেই কারিনা জিজ্ঞেস করলেন নিজের মনের কথা, ‘আপনার কাছে মেয়ে আর বউমার মধ্যে পার্থক্য কোথায়?’

শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আমার মেয়েকে আমি বড় করেছি। আমি তাকে বুঝি। সে কী ভালোবাসে, কিসে ভয় পায়, কী করলে রেগে যায়। কিন্তু পুত্রবধূ যখন ঘরে আসে, তখন তো সে পরিণত একজন মানুষ। তাকে সাদরে বরণ করে নিতে হবে। আর তাকে সময় নিয়ে বুঝতে হবে। একজন শাশুড়ি হিসেবে তাকে আপন করে নেওয়া আমার দায়িত্ব।’

এ সময় শর্মিলা ঠাকুর মনসুর আলী খান পতৌদির সঙ্গে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন। বলেন, ‘আমি তো বাঙালি। আমি ভাত, মাছ খুবই ভালোবাসি। আর ওরা তো রুটি, মাংস। সময় লেগেছিল আমার। খাবার কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।’

সোহা আলী খানের মেয়ে ইনায়াকে নিয়ে শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
সোহা আলী খানের মেয়ে ইনায়াকে নিয়ে শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

কারিনা কাপুর তাঁর ‘আম্মা’র কাছে নিজের একটা ভালো দিক আর একটা খারাপ দিক সম্পর্কে জানতে চান। শর্মিলা ঠাকুর জানান, কারিনা যেভাবে সবার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলে, সেটা তাঁর সন্তানেরাও পারেন না। কারিনাকে মেসেজ করার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পাওয়া যায়। তাঁর মেয়ে সোহা আলী খান রিপ্লাই দেন, তবে দেরিতে। আর বড় সন্তান সাইফ আলী খান নাকি মেসেজের জবাবই দেন না।

তা ছাড়া মনসুর আলী খান পতৌদি যখন ২০১১ সালে হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় ছিলেন, তখনো কারিনা যেভাবে এই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, সেটা কোনো সন্তানের চেয়ে কম নয় বলেই জানান শর্মিলা। আরও বলেছেন, কারিনার নাকি কোনো মন্দ দিক নেই। কারিনা যেমন, সারা জীবন তাঁকে তেমনই থাকতে বলেছেন শর্মিলা ঠাকুর।

পরিবারের সবার সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া
পরিবারের সবার সঙ্গে শর্মিলা ঠাকুর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া

তৈমুর আলী খানের জনপ্রিয়তা নিয়েও শর্মিলা ঠাকুরকে প্রশ্ন করেন কারিনা। শর্মিলা ঠাকুর বলেন, ‘আজ তৈমুরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত হইহই রইরই পড়ে গেছে। কাল যখন আনুশকা (শর্মা) আর বিরাটের (কোহলি) সন্তান হবে, তখন তৈমুর প্রদীপের আড়ালে চলে যাবে। সেটা কোনো সমস্যা না। কিন্তু তৈমুর যদি আরেকটু বড় হয়, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যদি নিজেকে নিয়ে এত মাতামাতি দেখে, তারপর যদি তাকে নিয়ে সব শোরগোল বন্ধ হয়ে যায়, তার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ওর জন্য কঠিন হবে।’