অ্যান্টিভাইরাস বানাতে টাকা দিলেন ম্যাডোনা

ম্যাডোনা। ছবি: রয়টার্স
ম্যাডোনা। ছবি: রয়টার্স

করোনার অ্যান্টিভাইরাস বানাতে চলছে গবেষণা। এ কাজে বিল গেটসদের ফাউন্ডেশনে অর্থসহায়তা দিয়েছেন জনপ্রিয় মার্কিন গায়িকা ম্যাডোনা। করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক উদ্ভাবনে গবেষণা তহবিলে এক লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছেন পপ কুইন।

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে গবেষণা করছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। এ অর্থসহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ এক উদ্যোগ নিয়েছে তারা। করোনাভাইরাস ধনী-দরিদ্র কাউকেই ছাড় দেবে না। তাই সবাই মিলেই একে প্রতিহত করতে হবে।’

নিজের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক উদ্ভাবনে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগ দিতে যাচ্ছি। আমাদের স্বাস্থ্যকর্মী, বন্ধু ও স্বজনেরা এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভীষণ ঝুঁকির মধ্যে আছে। মানুষকে বাঁচাতে কাজ করে যাওয়া গবেষণা, চিকিৎসক ও পেশাজীবীদের শ্রদ্ধা জানাই।’

করোনাভাইরাসকে নির্মম সমীকরণকারী উল্লেখ করে ম্যাডোনা লিখেছেন, ‘কোভিড-১৯ দেখছে না কে ধনী কে গরিব, কে কতটা খ্যাতিমান, কে কতটা মজার মানুষ, কে কতটা স্মার্ট। সে দেখছে না কোন মানুষটি কোথায় থাকে, বয়স কম নাকি বেশি। সে এক নির্মম সমীকরণকারী। সে সব মানুষকে সমানভাবে চোখে দেখে। এ ভাইরাসটি একদিকে ভয়ংকর, অন্যদিকে ইতিবাচক। ভয়ংকর এই অর্থে যে, সে নানা দিক থেকে সবাইকে সমান অসহায় করে দিচ্ছে। এটা ইতিবাচকও। আসলে আমরা সবাই এক জাহাজের যাত্রী। জাহাজটা ডুবে গেলে আমরা সবাই তলিয়ে যাব।’

১৯৭৭ সালে সংগীতে ক্যারিয়ার শুরু করেন মার্কিন পপ তারকা ম্যাডোনা। ১৯৮২ সালে বেরিয়েছিল প্রথম একক অ্যালবাম। বেস্ট সেলিং নারী শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে নাম রয়েছে ম্যাডোনার। তাঁর গাওয়া ৪৬টি গান ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘লাইক আ ভার্জিন’, ‘হ্যাং আপ’, ‘হলিডে’, ‘লা ইসলা বোনিতা’, ‘লাইক আ প্রেয়ার’ প্রভৃতি। সূত্র: কনট্যাক্ট মিউজিক