হামিনের মধ্যস্থতায় অভিমান ভাঙল তন্ময়ের

ভাইকিংস ব্যান্ডে ফিরলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভোকাল তন্ময় তানসেন। ছবি: ফেসবুক থেকে
ভাইকিংস ব্যান্ডে ফিরলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভোকাল তন্ময় তানসেন। ছবি: ফেসবুক থেকে

পান্থপথে একটি বাড়িতে ভাইকিংস ব্যান্ডের ছয় সদস্য বসলেন টানা দুই ঘণ্টার আলোচনায়। নিজেদের মধ্যকার সমস্যা, মান-অভিমান মেটাতেই করোনার এই সময়ে জরুরি সভা। ব্যান্ডের সদস্যদের পরিচিত ডা. আশরাফ সিয়ামের বাড়ির সেই আলোচনায় ফোনে যোগ দেন বামবার সভাপতি হামিন আহমেদও। তাঁদের মধ্যস্থতায় ভাইকিংস ব্যান্ডে ফিরলেন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও ভোকাল তন্ময় তানসেন।

গতকাল মঙ্গলবার দিনভর বিনোদন অঙ্গনে আলোচনা, ভাইকিংস ছেড়ে দিলেন তন্ময়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তন্ময়ের সরে যাওয়ার বিষয়টি ভাইকিংস ভক্তদের কেউ মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি নজরে আসে বামবারও (বাংলাদেশ ব্যান্ড মিউজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)। এরপর রাতের মিটিংয়ে সমস্যার অবসান করে আপাতত ব্যান্ডে নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন তন্ময় তানসেন।

আজ বুধবার দুপুরে হামিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘তন্ময়ের কিছু অভিমান ছিল। আমার কাছে অভিমানের বিষয়টি যৌক্তিক মনে হয়েছে। তবে আমরা একটা কথাই ভেবেছি, ভাইকিংস বামবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ভালো একটি ব্যান্ড। দর্শকের গ্রহণযোগ্যতাও আছে। তাই তাদের সবাইকে সরাসরি বলেছি, এভাবে ব্যান্ড ভাঙার বিষয়টি ভালো হবে না। নিজেদের ভুল–বোঝাবুঝি নিজেদেরই সমাধান করা উচিত। সব সদস্যই ম্যাচিউরড, তারা সবাই কথাগুলো মন দিয়ে শুনেছে। নিজেদের সমস্যাগুলো বুঝতে পেরে একত্র হয়েছে।’

তন্ময়ের অভিমান কী ছিল জানতে চাইলে হামিন আহমেদ বলেন, ‘তন্ময়ের চাওয়া, ভাইকিংসের আরও বেশি বেশি কাজ করা উচিত। সবাই একত্র হয়ে ব্যান্ডে আরও সক্রিয় উচিত হওয়া উচিত।’

কথা হয় ভাইকিংস ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য তন্ময় তানসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সবার ইচ্ছা, আমি যেন ব্যান্ড না ছাড়ি। ব্যান্ডের সদস্যদেরও ইচ্ছা, আমি আবার দলে ফিরি। বামবাও চাইছিল, আমি যেন নিয়মিত হই। কিন্তু আমি কী চাই, তা কেউ শুনল না। সবার চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়ে আমি ফিরেছি, কিন্তু আমি কী চাই সেটা কেউ শুনল না। সবার ভালো থাকাটাই আমার ভালো লাগা।’

১৯৯৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর শ্রুতি স্টুডিওতে যাত্রা করে রক ব্যান্ড ভাইকিংস। ১৯৯৯ সালে সেরা ব্যান্ড হিসেবে বিজয়ী হয় ‘স্টার সার্চ’ প্রতিযোগিতায়। কিছুদিন পর দলের কি-বোর্ডিস্ট বাবুর অনুপস্থিতিতে ব্যান্ডের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালনায় সক্রিয় ছিলেন তন্ময় তানসেন। ২০১৫ সালে নিজের পরিচালনায় ‘রান আউট’ সিনেমায় গান করার মাধ্যমে আবার সংগীতে ফেরেন তন্ময়। ‘জীবনের কোলাহল’, ‘তুমি কথা দাও’, ‘চেনা পথ’, ‘দিন যত দুঃখ তত’, ‘ঘড়ির কাঁটা’, ‘ঈশ্বর তুমি সযতনে রেখো তাকে’সহ দলটির বেশ কিছু জনপ্রিয় গান ভক্তদের মুখে মুখে ফেরে।