করোনায় মারা গেছেন অভিনেতা ও নির্মাতা স্বপন সিদ্দিকী

অভিনেতা ও নির্মাতা স্বপন সিদ্দিকী। ছবি সংগৃহীত
অভিনেতা ও নির্মাতা স্বপন সিদ্দিকী। ছবি সংগৃহীত

করোনায় মারা গেলেন অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক স্বপন সিদ্দিকী। দুই সপ্তাহ ধরে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে করোনা শনাক্ত হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন তাঁর স্ত্রী রিয়া সিদ্দিকী। দুপুরে যোগাযোগ করলে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাঁর স্বামীর জন্য সবার কাছে দোয়া চান। স্বামীর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তিনি। এ সময় স্বপন সিদ্দিকীর ভাগনে সাঈদ হোসেন ফোন ধরে বলেন, ‘মামার প্রাথমিকভাবে জ্বর দেখা দিলে বাসায়ই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থা উন্নতি না হওয়ায় সন্দেহ করা হয় তাঁর করোনা হয়েছে। পরে বাসায় থেকেই উপসর্গ সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। ৮ তারিখের রিপোর্টে দেখা যায়, মামার করোনা পজিটিভ। ৯ তারিখে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে আজ তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হলে তিনি মারা যান।’ হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসাসহ সব সহযোগিতা করেছে ডিরেক্টরস গিল্ড, টিভি প্রযোজক সমিতি ও অভিনয়শিল্পী সংঘ। তিনি এ তিন সংগঠনের সদস্য ছিলেন। ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। ঢাকা মেডিকেলে কোনো আইসিইউ খালি ছিল না। আমরা আজ সকাল থেকে অন্য একটি হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এমন অবস্থায় তিনি ১২টার দিকে মারা যান।’

একটি নাটকের শুটিংয়ের সময় এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে স্বপন সিদ্দিকী। ছবি সংগৃহীত
একটি নাটকের শুটিংয়ের সময় এ টি এম শামসুজ্জামানের সঙ্গে স্বপন সিদ্দিকী। ছবি সংগৃহীত

অভিনয় দিয়েই তাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়। এরপর তিনি নির্মাণ ও প্রযোজনা শুরু করেন। প্রায় তিন দশকের ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য ছবি ও নাটকে অভিনয় করেছেন। নাম লেখিয়েছেন নির্মাতা ও প্রযোজক হিসেবে। ছিলেন আগের কমিটির নাট্য প্রযোজক সমিতির নেতা। মৃত্যুর আগে স্ত্রী ও দুই কন্যাসন্তান রেখে গেছেন। ডিরেক্টরস গিল্ডের আরেক নেতা গোলাম সোহরাব দোদুল জানান, ‘তাঁর বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। তাঁর জন্ম ১৯৬০ সালে নাখালপাড়ায়। তিনি পরিবার নিয়ে মালিবাগে থাকতেন।’ তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতাল থেকে সব প্রক্রিয়া শেষ করে বোনের বাসায় নাখালপাড়া নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী বা ঢাকাতেই দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।