জাপানে আমাদের প্রথম নাটক

অমল ও সুধা
অমল ও সুধা

গত নভেম্বরে টোকিও বিদেশি ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষার নাটকে আমরা অভিনয় করেছি। এটা ছিল আমাদের বাংলা ভাষা ক্লাসের প্রথম নাটক, আর তাই খুব মনোযোগ দিয়ে অভিনয়ের চেষ্টা আমরা করেছি সবাই। আমরা জাপানিরা রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর-এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করি।
মঞ্চে অভিনয়ের আগে অনেক অসুবিধা আমাদের হয়েছে। কারণ, বাংলা কথার অনেক কিছু এখনো আমরা বুঝতে পারি না। বাংলা ভাষার স্বরভঙ্গি অপরিচিত হওয়ায় একে একে সব ঠিকঠাক করে নিতে হয়েছে। এ ছাড়া নাটকের চরিত্রের কোনোটাই জাপানি না হওয়ায় এদের সঠিক ভূমিকা বুঝতে পারাও ছিল বেশ কঠিন। এর বাইরে আবার আমাদের ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা হচ্ছে কম। ফলে কয়েকজনকে একটির বেশি চরিত্রে অভিনয় করতে হয়।
আরও যে বড় অসুবিধায় আমরা পড়েছিলাম তা হলো, আমাদের শিক্ষক অসুস্থ হয়ে ভারতে ফিরে গিয়েছিলেন। আমাদের খুব কষ্ট হয়েছে, তবে ভালো অনেক দিকও ছিল। বাংলা সংলাপ এখন আমি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারছি এবং আমাদের বাংলা ক্লাসের সবার সঙ্গে আরও বেশি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখন আমার গড়ে উঠেছে। তাই নাটকে অভিনয় আমার জন্য ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক অভিজ্ঞতা।
নাটক শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি এখন খুব স্বস্তি বোধ করছি। নাটক করার কাজে আমাদের যাঁরা নানাভাবে সাহায্য করেছেন, তাঁদের সবাইকে আমি জানাতে চাই আন্তরিক ধন্যবাদ। ডাকঘর নাটকে অভিনয় করতে পেরে আমি খুব খুশি।
ডাকঘর-এর মূল একটি চরিত্রে অভিনয় করা জাপানি ছাত্রী মিকাকো ওমাতাকে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য লিপিবদ্ধ করার অনুরোধ প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে এই প্রতিবেদন তিনি পাঠিয়েছেন প্রথম আলোর পাঠকদের জন্য।