আইআইটি থেকে বলিউড, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে সিনেমার দানব

সিনেমার দৃশ্যে সহশিল্পীর সঙ্গে অনিরুদ্ধ আগরওয়াল। আইএমডিবি

বলিউডে অনেকেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে পরে অভিনয়ে এসেছেন—কৃতি শ্যানন, তাপসী পান্নু, সোনু সুদ কিংবা আর মাধবনের মতো তারকারা। তবে আশির দশকে একজন অভিনেতা এমন ছিলেন, যিনি সত্যিই ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অভিনয়ের জগতে পা রেখেছিলেন। তিনি হলেন অনিরুদ্ধ আগরওয়াল—বলিউডের পর্দায় যিনি সবচেয়ে বেশি পরিচিত দানব কিংবা ভয়ংকর চরিত্রের জন্য।

‘পুরানা মন্দির’ দিয়ে শুরু
১৯৮৪ সালে রামসে ব্রাদার্সের হরর ফিল্ম ‘পুরানা মন্দির’–এর মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন অনিরুদ্ধ। লম্বা শরীর, তীক্ষ্ণ চেহারা—তাঁর উপস্থিতি এতটাই ভয়ংকর ছিল যে অনেক সময়ই তাঁকে আলাদা মেকআপের প্রয়োজন হতো না। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মানুষ আমাকে শুধু ভয়ের মুখ হিসেবেই দেখতে শুরু করেছিল।’

আরও পড়ুন

পরবর্তী সময়ে তিনি ‘বন্ধ দরওয়াজা’, ‘আজ কা অর্জুন’, ‘ব্যান্ডিট কুইন’, ‘মেলা, এমনকি ‘দ্য জঙ্গল বুক’–এর মতো ছবিতে কাজ করেন। তাঁর শেষ ছবি ছিল ২০১০ সালের মল্লিকা।

‘পুরানা মন্দির’ সিনেমার দৃশ্য। আইএমডিবি

আইআইটি থেকে বলিউড
অল্প মানুষই জানেন, অনিরুদ্ধ আগরওয়াল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছিলেন আইআইটি রুরকিতে। পরে মুম্বাইয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজও করেছিলেন। কিন্তু অভিনয়ের নেশায় চাকরি ছেড়ে দেন। তবে যখন চলচ্চিত্রে কাজের সুযোগ কমতে থাকে, তখন আবার ফিরে যান নিজের মূল পেশায়—কনস্ট্রাকশন ব্যবসা শুরু করেন।

টেলিভিশনের দানব
শুধু চলচ্চিত্র নয়, টেলিভিশনেও তিনি বারবার দানব চরিত্রে দেখা গেছেন। ‘শারারত’ কিংবা ‘হাম পাঁচ’–এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তাঁকে দর্শক মনে রেখেছেন ভয়ংকর চেহারার চরিত্রে।

অনিরুদ্ধ আগরওয়াল। আইএমডিবি

আজকের জীবন
বর্তমানে অনিরুদ্ধ আগরওয়াল থাকেন মুম্বাইয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে। দুই সন্তান—ছেলে ও মেয়ে। এখন বিদেশে বসবাস করছেন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়াডটকম