আর কোনো প্রতিযোগিতায় নেই প্রসেনজিৎ

‘জুবিলি’র প্রচারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও অদিতি রাও হায়দারি
এএফপি

‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজে শ্রীকান্ত রায় চরিত্র করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই সিরিজের হাত ধরে ওটিটির দুনিয়ায় পা রাখলেন টলিউড সুপারস্টার।
মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে টলিউডের সবার আদরের ‘বুম্বাদা’র মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথম আলোর মুম্বাই প্রতিনিধি। ‘বুম্বাদা’ বলে সম্বোধন করতেই হেসে বলেন, ‘জানেন, এখন আমি বাংলার দর্শকদের কাছে প্রসেনজিৎ নই, বুম্বাদা। মুম্বাইতেও আমাকে অনেকে বুম্বাদা বলে সম্বোধন করছেন। বেশ লাগে।’ ‘জুবিলি’ সিরিজের এই অভিনেতা নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম দিকের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘“অমর সঙ্গী” ছবি আমাকে প্রথম জুবিলির স্বাদ দিয়েছিল। এবারেরটা প্ল্যাটিনাম জুবিলি! “অমর সঙ্গী” ৭৫ সপ্তাহ চলেছিল। আমার ৬০-৭০টার বেশি ছবি সিলভার জুবিলি হয়েছিল। আর গোল্ডেন জুবিলি হয়েছিল ৩৫-৪০টা ছবি। এখনকার তরুণ অভিনেতারা জানেনই না জুবিলি কী।’

বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানি পরিচালিত ‘জুবিলি’ ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমার সত্যি ভালো লেগেছে যে বিক্রমাদিত্যর মতো তরুণ পরিচালক আমার কথা মাথায় রেখে এমন একটা শক্তিশালী চরিত্র লিখেছেন। পরিচালক হিসেবে উনি দারুণ, তা সবার জানা। বিক্রমাদিত্যর সিনেমার ভাষা একদম আলাদা।’

আরও পড়ুন

মানুষ তিন প্রজন্ম ধরে প্রসেনজিতের ছবি দেখছেন। বললেন, ‘প্রতিদিন আমার একটা নতুন অনুরাগীর জন্ম দিতে চাই। অভিনয় আমার কাছে আর পেশা নয়, আবেগ। আগে আমি নম্বরে বিশ্বাসী ছিলাম। এক অথবা দুই নম্বরে নিজেকে সব সময় দেখতে চাইতাম। কিন্তু এখন কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। আরও ভালো ভালো কাজ করতে চাই। আর প্রতিদিন নতুন কিছু না কিছু শিখতে চাই।’

প্রসেনজিৎকে এখন আর মেইনস্ট্রিম ছবিতে দেখা যায় না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি নিজের চিরাচরিত ইমেজ ভাঙতে চেয়েছিলাম। আর তাই মেইনস্ট্রিম সিনেমা থেকে সরে এসেছিলাম। এমন সব ছবি করতে চেয়েছিলাম, যা আমার ব্র্যান্ড প্রসেনজিতের সঙ্গে মানানসই। সৃজিত মুখার্জির “অটোগ্রাফ” আমার ক্যারিয়ারের গেম চেঞ্জার ছিল। এই ছবির হাত ধরে আমি মাল্টিপ্লেক্সে ঢুকেছিলাম।

‘জুবিলি’র পোস্টার
আইএমডিবি

“কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন” ছবিটা আমাকে শিশুদের হৃদয়ে জায়গা করে দিয়েছিল। এইভাবে আমি সব সময় দর্শকের হৃদয় ছুঁতে চেয়েছি।’ একটু হেসে তিনি বলেন, ‘সিনেমা আমার জীবনে সবকিছু। সিনেমাকে ঘিরে আমার বাঁচা, খাওয়া, ঘুমানো সব।’

বাংলা কি পারবে না প্যান ইন্ডিয়া ছবি নির্মাণ করতে? এ প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আসলে বাংলা আর মারাঠি এই দুই ভাষার সিনেমা নিজেদের সাহিত্য দ্বারা প্রভাবিত। আমরা আমাদের ঘরানার মতো ছবি নির্মাণে খুশি।

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
ফেসবুক

আমাদের ছবি শেকড়ের সঙ্গে যুক্ত। তাই আমরা কখনো ‘বাহুবলী’ বা বড়সড় অ্যাকশনধর্মী ছবি নির্মাণ করতে পারব না। আবেগে বাড়িয়ে বললেই হবে না!’