রজনীকান্তের ঝড় তোলা ‘কুলি’ এবার দেখা যাবে ঘরে বসেই

‘কুলি’ সিনেমায় রজনীকান্ত। আইএমডিবি

লোকেশ কঙ্গরাজ পরিচালিত রজনীকান্ত অভিনীত বহুল আলোচিত ছবি ‘কুলি’ বক্স অফিসে দাপট দেখিয়েছে। এবার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ওটিটিতে। হলে মুক্তির এক মাসের মধ্যেই ছবিটি দেখা যাবে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
১৪ আগস্ট মুক্তির পর ২০ দিনেই বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫১০ কোটি রুপি আয় করা এ ছবি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে স্ট্রিম হবে। ছবিটি মুক্তি পাবে তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালয়ালম ভাষায়। প্রাইম ভিডিওর অফিশিয়াল এক্সে গতকাল ছবিটির নতুন পোস্টার শেয়ার করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ভক্তদের বিস্ময়
ভক্তদের অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ছবিটি এত দ্রুত ওটিটিতে আসছে জেনে। একজন লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম ওটিটি রিলিজের আগে ন্যূনতম ৮ সপ্তাহের ব্যবধান থাকে। তাই তো মাল্টিপ্লেক্সগুলো ছবিটির হিন্দি সংস্করণও মুক্তি পেয়েছিল।’

‘কুলি’তে রজনীকান্ত। এক্স থেকে

আরেকজন প্রশ্ন তোলেন, ‘মাত্র এক মাস পরেই! তাহলে কি “কুলি” গড়পড়তা নাকি ফ্লপ?’ কেউ কেউ জানতে চান হিন্দি ভাষায় ছবিটি কেন আনা হচ্ছে না, আবার কেউ ভাড়া দিয়ে রিলিজ হবে কি না, তা নিয়ে কৌতূহল প্রকাশ করেছেন।

ছবির গল্প ও অভিনয়শিল্পী
‘কুলি’ পরিচালনা করেছেন লোকেশ কাঙ্গরাজ। এতে রজনীকান্তের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন নাগার্জুন, সোবিন শাহীর, শ্রুতি হাসান, রচিতা রাম, সত্যরাজ, উপেন্দ্র ও আমির খান।

আরও পড়ুন

গল্পে দেখা যায় সাবেক কুলি ইউনিয়ন নেতা ডেভা (রজনীকান্ত) বন্ধুর (সত্যরাজ) আকস্মিক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে মুখোমুখি হয় কার্টেল লর্ড সাইমন (নাগার্জুন) আর দাহার (সোবিন শাহীর)। মুক্তির পর সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেলেও দর্শকের মুখে মুখে প্রচারের জোরে বক্স অফিসে সফল হয়েছে ছবিটি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এটি লোকেশের ‘কাইথি’, ‘বিক্রম’ বা ‘লিও’-এর মতো সিনেমাটিক ইউনিভার্সের অংশ নয়।

কী বলছেন সমালোচকেরা
দর্শকেরা পছন্দ করলেও সমালোচকেরা ‘কুলি’ নিয়ে খুব একটা ইতিবাচক রায় দেননি। তাঁদের মতে, নির্মাতা লোকেশ কঙ্গরাজের দুর্বল সিনেমাগুলোর একটি এটি। অ্যাকশন, স্টাইল আর রাজনীকান্তের উপস্থিতির জন্য প্রশংসা করলেও সমালোচকেরা ছবির চিত্রনাট্যের কড়া সমালোচনা করেছেন।

‘কুলি’তে রজনীকান্ত। এক্স থেকে

বিতর্ক
টিজারের মুক্তির এক সপ্তাহ পর সংগীতশিল্পী ইলইয়ারাজা নির্মাতাদের নোটিশ পাঠান। তাঁর অভিযোগ, ‘থাঙ্গা মাগন’ ছবির গান টিজারে তাঁর অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হয়েছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টে এপ্রিলের শেষ দিকে শুনানিতে বিচারক বলেন, গানটির লিরিকস অন্য একজন লিখেছেন, তাই ইলইয়ারাজা একমাত্র মালিকানা দাবি করতে পারেন না। তবে এই বিতর্ক সেখানেই শেষ হয়।