টানা ছয় ফ্লপ, না বলার অবস্থা ছিল না প্রিয়াঙ্কার
গতকাল বুধবার আবুধাবিতে ‘ব্রিজ সামিট ২০২৫’-এ উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এ দিন তিনি কথা বলেন বলিউডের কঠিন সময় নিয়ে। কথা বলেন বলিউডের ক্যারিয়ার ছেড়ে নতুন করে হলিউডে নিজের সংগ্রামের কথাও।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক বিনোদন–দুনিয়ায় নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। বলিউড থেকে হলিউড—অসংখ্য সাফল্যের পেছনে রয়েছে বেশ কিছু উত্থান-পতনও। আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত ব্রিজ সামিটে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি নিজের ক্যারিয়ারের সেই কঠিন সময়গুলো খোলাখুলি তুলে ধরলেন।
ক্যারিয়ারের বাঁকবদল নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আমি বহুবার দিক বদলাতে বাধ্য হয়েছি। এমনও সময় গেছে, এক বছরে ছয়টা ছবি করেছি এবং ছয়টাই ফ্লপ হয়েছে। তারপর দেখি, আমি যে ছবিগুলো করতে চেয়েছিলাম, সেগুলো করতে শুরু করেছে অন্যরা। আমার সেই দিক বদলানো কখনোই পছন্দ থেকে হয়নি, হয়েছে বাঁচার তাগিদে। তখন শুধু ভাবতাম, এবার কী করব।’
সেই অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন তিনি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছি, “না” বলার মতো অবস্থা আমার ছিল না। কাজ পাওয়া ছিলই কঠিন। তাই যা সুযোগ এসেছে, সবই নিয়েছি। ছুটে বেড়িয়েছি এক দেশ থেকে আরেক দেশে। পরিবারের বহু গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেও থাকতে পারিনি। কারণ, কাজ ফিরিয়ে দেওয়া তখন অসম্ভব মনে হতো।’
তবে এখন সেই দিনের মূল্য বুঝতে পেরে তৃপ্ত প্রিয়াঙ্কা জানালেন, ‘এখন আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এখন আমি বেছে নিই কোনটা আমাকে মানায়, কোনটা নয়।’
তিনি বলেন, ‘ক্যারিয়ারের শুরুতে সব ধরনের কাজেই অবিবেচকের মতো রাজি হতাম। কারণ, প্রতিটা সুযোগই ছিল বড় ব্যাপার। বুঝতাম না আমার শক্তি কোথায়, তাই সবকিছুই চেষ্টা করতে চাইতাম। এখন আমি ইচ্ছা করেই হ্যাঁ বলি। ভাবি পরিবারের কথা, নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের কথা।’
হলিউডে নিজের পথচলার গল্প তুলতে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে যখন পপ মিউজিক আর অভিনয়ের শুরু করি, তখনো অনেক চরিত্রই নির্দিষ্ট ধাঁচের স্টেরিওটাইপ দিয়ে লেখা হতো। আমাকে বহু বছর লড়তে হয়েছে এমন একটি চরিত্র পাওয়ার জন্য, যেখানে আমি শুধুই একজন আমেরিকান নারী-জাতিগত পরিচয়ে সীমাবদ্ধ না।’
সম্প্রতি প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গেছে ‘হেডস অব স্টেটে’, যেখানে তাঁর সহ-অভিনেতা ছিলেন ইদ্রিস এলবা ও জন সিনা। সামনে আসছে ‘দ্য ব্লাফ’, ‘জাজমেন্ট ডে’ও এস এস রাজামৌলির ‘বারাণসী’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস অবলম্বনে