অক্ষয়ের সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত হলো যৌনশিক্ষা

‘ওএমজি ২’–এর দৃশ্য। টুইটার

১১ আগস্ট মুক্তির পর বক্স অফিসে সাফল্যের পাশাপাশি সমালোচকদেরও প্রশংসা পেয়েছে অক্ষয় কুমার, পঙ্কজ ত্রিপাঠি অভিনীত সিনেমা ‘ওএমজি ২’। বিশেষ করে ছবিতে বিনোদনের মোড়কে যৌনশিক্ষার মতো সংবেদনশীল বিষয় যেভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, সেটার তারিফ করেছেন সমালোচকেরা। বলিউড হাঙ্গামা জানিয়েছে, ছবিটি থেকে প্রেরণা নিয়ে স্কুলের শিক্ষাক্রমে যৌনশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করছে মহারাষ্ট্রের সিন্ধু এডুকেশন সোসাইটি।

আরও পড়ুন

কয়েক দিন আগে মহারাষ্ট্রের উল্লাসনগরের সিন্ধু এডুকেশন সোসাইটি ‘ওএমজি ২’ সিনেমার একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। যেখানে স্থানীয় এমএলএ, এডুকেশন সোসাইটির কর্মকর্তা, ১৮৪ জন শিক্ষক ও ১৫টি স্কুলের অধ্যক্ষ উপস্থিত ছিলেন। এই প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন ‘ওএমজি ২’ সিনেমার চিত্রনাট্যকার ও নির্মাতা অমিত রাইও।

বিশেষ প্রদর্শনী শেষে ছবিটির ভূয়সী প্রশংসা করেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এরপরই আয়োজক সিন্ধু এডুকেশন সোসাইটি ঘোষণা দেয়, চলতি বছর থেকেই তাদের পাঠ্যক্রমে যৌনশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সোসাইটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ওএমজি ২’ সিনেমাটি দেখার পর তারা নিজেদের শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়।

‘ওএমজি ২’–এর দৃশ্য। টুইটার

বিশেষ প্রদর্শনী শেষে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে নির্মাতা অমিত রাই বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন খুবই আশাব্যঞ্জক। মনে হয়, যে উদ্দেশ্যে সিনেমাটি বানিয়েছি, তা সফল হয়েছে। ছবিটি যে কেবল বাণিজ্যিক সাফল্য পাচ্ছে তা-ই নয়, আমাদের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে, এতে আমি খুবই খুশি।’

যৌনশিক্ষা নিয়ে কিশোরদের জন্য বার্তা থাকার পরও ছবিটিতে ‘এ’; অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সনদ দিয়েছে ভারতীয় সেন্সর বোর্ড। ফলে ১৮ বছরের কম বয়সীরা ছবিটি দেখতে পারবে না, যা নিয়ে এর আগে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন অক্ষয় কুমার, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, ইয়ামি গৌতমরা।