বাণীর জাদুকরি সফর
‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ ছবির মাধ্যমে ফিল্মি ভ্রমণ শুরু করেছিলেন বাণী কাপুর। সম্প্রতি ওটিটিতেও তাঁর অভিষেক হয়েছে। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘মান্ডালা মার্ডারস’-এ এক সাহসী পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাণী। যশরাজ এন্টারটেইনমেন্টের ক্রাইম থ্রিলার সিরিজটি ২৫ জুলাই মুক্তি পেয়েছে, মুক্তির পরই নেটফ্লিক্সের প্রথম দশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। সব মিলিয়ে তাই দারুণ উৎফুল্ল অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম দৈনিক জাগরণকে এক সাক্ষাৎকারে বাণী কাপুর বলেন, ‘সিনেমার জগতে আসা আমার জন্য অনেক বড় ঘটনা। আসলে জীবনে কখনো কল্পনাও করিনি যে অভিনেত্রী হব, আর এই পেশা আমার উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠবে। কাজ করতে করতে এতটাই আনন্দ পেয়েছি যে অভিনয়ের গভীরে পৌঁছে গেছি। আসলে অনেক সময় আমরা নিজেদের নিয়ে যা ভাবি, বাস্তবে তা হয় না। আর আমাদের জীবনে এমন কিছু ঘটে, যা আমরা কখনো পরিকল্পনা করিনি।’
বলিউড সাম্রাজ্যের বাইরে থেকে আসা বাণী শুরু থেকেই যশরাজ ফিল্মসের মতো বড় প্রতিষ্ঠানের ‘ছায়া’ পেয়েছেন। ক্যারিয়ারের শুরুতেই যশ রাজ ফিল্মসের সঙ্গে তিনটি ছবির জন্য চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। যশরাজের ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’-এর পর ‘বেফিকরে’, ‘ওয়ার’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল বাণীকে। বহিরাগত হয়েও নিজেকে এই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজন বলে মনে করেন তিনি।
‘এখন তো আমার মনে হয় আমি এখান থেকেই এসেছি (চলচ্চিত্রজগৎ)। এই পেশা আমাকে জীবনে উদ্দেশ্য দিয়েছে, যার সাহায্যে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারব। আমরা যখন বেড়ে উঠি, আমাদের মনে নানান ধরনের চিন্তাভাবনা আসতে থাকে। ভাবি যে ১০ বছর পর আমরা কোথায় থাকব। ভবিষ্যতে কী করব, কোন চাকরি করব। আর চলচ্চিত্রজগতে আসার পর এখানে একদম ফিট হয়ে গেছি। এখন মনে হয়, অন্য কোথাও কোনো চাকরিতে নিজেকে আর মানাতে পারব না। জীবনে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য খুঁজে পেয়েছি। তাই নিজের এই ভ্রমণকে আমার জাদুকরি বলে মনে হয়। অভিনয়ের এই যাত্রায় অনেক দুর্দান্ত মানুষের সঙ্গে কাজ করেছি। আর এই যাত্রা আগামী দিনে আরও রোমাঞ্চকর ও সুন্দর হতে চলেছে বলে আমার বিশ্বাস’, প্রায় এক দমেই কথাগুলো বললেন বাণী।
সব সময় নতুন কিছু করার সন্ধানে থাকেন বাণী। ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’-এ স্বাধীনচেতা ‘তারা’ করার পর ‘চণ্ডীগড় করে আশিকি’ ছবিতে এক ট্রান্সওম্যান চরিত্রে দেখা গেছে।
বাণীর ভাষ্যে, ‘নিজেকে “রিপিট” করা থেকে দূরে রাখি। প্রতিটি ছবিতে নতুন কিছু করার চেষ্টা করি। “রেড ২”–এ গৃহবধূ থেকে “চণ্ডীগড় করে আশিকি” ছবিতে ট্রান্সওম্যান বা “শুদ্ধ দেশি রোমান্স”-এ জয়পুরের স্বাধীন চিন্তাভাবনার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ব্যক্তিগত জীবনে আমি কখনো পুলিশ কর্মকর্তা হতে পারতাম না। কারণ, আমি খুব কোমল প্রকৃতির মানুষ। তাই “মান্ডালা মার্ডারস”-এ পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে ওঠার সুযোগ হাতছাড়া করিনি। আমার ব্যক্তিত্বর চেয়ে ভিন্ন এক চরিত্রে অভিনয় করার চ্যালেঞ্জ লুফে নিয়েছি।’
বড় পর্দায় ‘রেড ২’ ছবিতে বাণীকে শেষ দেখা গেছে। ছবিতে তিনি অজয় দেবগনের স্ত্রী। বক্স অফিসে বেশ ভালোই সফলতা পেয়েছিল। ভবিষ্যতে আরও ব্যতিক্রমী চরিত্রে দর্শকদের চমকে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাণী। কমেডি ছবি ‘বদতমিজ গিল’ আর ‘সর্বগুণসম্পন্ন’তে নতুন রূপে আসছেন তিনি।