আমির খান কি নকল সিনেমা দিয়েই খ্যাতি পেয়েছেন

শেষ মুক্তি পাওয়া ‘লাল সিং চাড্ডা’ ডাহা ফ্লপ। তবে এই প্রথম নয়, ক্যারিয়ারে আরও রিমেক সিনেমা করেছেন আমির খান; বেশির ভাগই হিট হয়েছে। তবে নব্বই দশকে আমির খান হলিউডের প্রেরণায় নির্মিত যেসব হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সেগুলোর কোনোটিরই আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছিল না। এগুলোকে তাই ‘নকল’ সিনেমা বলতেও দ্বিধা করেন না অনেকে। নির্মাতারা হলিউড সিনেমার আংশিক বা হুবহু প্লট নিয়ে এসব সিনেমা বানিয়েছেন। আমির খানের জন্মদিন উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক তাঁর রিমেক সিনেমার খবরাখবর

১ / ২০
১৯৯১ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় গুলশান কুমার প্রযোজিত ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ ছবিটি। এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মহেশ ভাট। মহেশকন্যা পূজার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন আমির। বক্স অফিসে হিটও করেছিল ছবিটি। আইএমডিবি
২ / ২০
তবে রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার এই ছবির গল্পে ১৯৩৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ইট হ্যাপেন্ড ওয়ান নাইট’ ছবির মূল চিত্রনাট্যের ছাপ পাওয়া গেছে। পরে ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ ছবিটির তামিল রিমেক ‘কড়াই রোজাভে’ ও কন্নড় রিমেক ‘হুদুগাতা’ বানানো হয়। আইএমডিবি
৩ / ২০
১৯৯২ সালে মুক্তি পায় আমির খান অভিনীত আরও একটি আলোচিত সিনেমা ‘জো জিতা ওহি সিকান্দার’। আমিরের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেত্রী পূজা বেদী। এই ছবিতে একটি বিশেষ চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন আমিরের ভাই ফয়সাল খানও। আইএমডিবি
৪ / ২০
কমেডি-ড্রামা ছবিটির চিত্রনাট্য ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ব্রেকিং অ্যাওয়ে’ ছবি থেকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত। আইএমডিবি
৫ / ২০
‘হাম হ্যায় রাহি পেয়্যারকে’ ছবিটি ১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আমির খান ও জুহি চাওলা। মহেশ ভাট পরিচালিত ছবিটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। এই ছবির মূল চিত্রনাট্যের সঙ্গে হলিউডের রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার ছবি ‘হাউসবোট’-এর সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। ১৯৫৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘হাউসবোট’। হিন্দি ছবিটি হিট করার পর এর অনুকরণে ‘ভলে মাভায়া’ নামে তেলেগু রিমেকও তৈরি করা হয়। আইএমডিবি
৬ / ২০
১৯৯৫ সালে অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ‘বাজি’ ছবিতে অভিনয় করেন আমির খান ও মমতা কুলকার্নি। আশুতোষ গোয়াড়িকর পরিচালিত ‘বাজি’র চিত্রনাট্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আইএমডিবি
৭ / ২০
১৯৮৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডাই হার্ড’ ছবির ছাপ পাওয়া যায় ‘বাজি’তে। শুধু তা-ই নয়, ‘র‌্যাম্বো’, ‘পয়েন্ট ব্রেক’-এর মতো ছবির মূল গল্পের সঙ্গেও মিল রয়েছে ‘বাজি’ ছবিটির। আইএমডিবি
৮ / ২০
দিলীপ শঙ্করের পরিচালনায় ১৯৯৫ সালেই মুক্তি পায় ‘আতঙ্ক হি আতঙ্ক’ ছবিটি। আমির ও জুহিকে আবার এই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে দেখা যায়। আমির ও জুহির পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করেন রজনীকান্ত। আইএমডিবি
৯ / ২০
এই ছবিতে ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ক্ল্যাসিক ক্রাইম সিনেমা ‘দ্য গডফাদার’–এর মূল চিত্রনাট্যের স্পষ্ট ছাপ ধরা পড়ে। এই ছবিতে বড় মাপের অভিনেতারা কাজ করলেও বক্স অফিসে ছিল চূড়ান্ত ফ্লপ। আইএমডিবি
১০ / ২০
১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া আমির অভিনীত আরেকটি সিনেমা ‘আকেলে হাম আকেলে তুম’ মুক্তি পায়। অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাকে আমিরের বিপরীতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। রোমান্টিক ড্রামা ঘরানার এই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মনসুর খান। আইএমডিবি
১১ / ২০
এই ছবির পোস্টার থেকে ছবির মূল গল্প—সবই হলিউডের প্রেরণায় তৈরি। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘স্লিপলেস ইন সিয়াটল’ ছবির পোস্টার লক্ষ করলেই বোঝা যায়, ‘আকেলে হাম আকেলে তুম’ ছবিটির পোস্টার অবিকল অনুকরণ করা হয়েছে। ছবির গল্পের সঙ্গেও ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ক্র্যামার ভার্সেস ক্র্যামার’ ছবির মিল রয়েছে। আইএমডিবি
১২ / ২০
১৯৯৮ সালে বিক্রম ভাটের পরিচালনায় ‘গুলাম’ ছবিটি মুক্তি পায়। আমির খান ও রানি মুখার্জি একসঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল যে ছবিটি ‘কবজা’ ছবির হিন্দি রিমেক। সেই হিন্দি সিনেমা আবার তৈরি হয়েছিল ১৯৫৪ সালের হলিউড ছবি ‘অন দ্য ওয়াটার ফ্রন্ট’ থেকে। আইএমডিবি
১৩ / ২০
আমির খান অভিনীত ‘মন’ ছবিটি ১৯৯৯ সালে মুক্তির পর রোমান্টিক ঘরানার ছবি হিসেবে দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। ইন্দ্র কুমার পরিচালিত এই ছবিতে আমিরের সঙ্গে মনীষা কৈরালা ও শর্মিলা ঠাকুর অভিনয় করেন। বিশেষ চরিত্রে রানি মুখার্জি ও অনিল কাপুরকেও অভিনয় করতে দেখা যায়। আইএমডিবি
১৪ / ২০
‘মন’ ছবির চিত্রনাট্য ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যান অ্যাফেয়ার টু রিমেম্বার’ নামের হলিউড ছবির চিত্রনাট্য থেকে অনুপ্রাণিত। আইএমডিবি
১৫ / ২০
২০০৬ সালে মুক্তি পেলেও আজও ‘রং দে বসন্তি’ ছবিটি দর্শকদের প্রিয় ছবির মধ্যে একটি। শুধু আমির নন, ওয়াহিদা রহমান, সোহা আলি খান, অতুল কুলকার্নি, আর মাধবনসহ বলিউডের বহু তারকা এই ছবিতে অভিনয় করেন। আইএমডিবি
১৬ / ২০
অনেক সমালোচক মনে করেন, ১৯৪৮ সালে ‘অল মাই সন্স’ এবং ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জিসাস অব মন্ট্রিওল’—হলিউডের এই দুই ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ‘রং দে বসন্তি’ বানানো হয়। আইএমডিবি
১৭ / ২০
আমির খান অভিনীত হিট সিনেমাগুলোর একটি ‘ধুম ৩’। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবিতে আমির খানকে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এ সিনেমার শেষাংশ হলিউড সিনেমা ‘দ্য প্রেস্টিজ’ থেকে অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হয়। আইএমডিবি
১৮ / ২০
২০০৬ সালে মুক্তি পায় আমির খান ও কাজল অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘ফানা’। কুনাল কোহলির এ ছবিতে হলিউড ছবি ‘আই অব দ্য নিডল’ ও কোরিয়ান ছবি ‘শিরি’র ছাপ স্পষ্ট। আইএমডিবি
১৯ / ২০
শুধু হলিউড থেকেই নয়, দক্ষিণি সিনেমারও রিমেক করেছেন আমির খান। ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘গজনি’ ছবিটি একই নামের একটি তামিল ছবির রিমেক। আইএমডিবি
আরও পড়ুন
২০ / ২০
২০২২ সালে মুক্তি পায় ‘লাল সিং চাড্ডা’। অদ্বৈত চন্দনের সিনেমাটি টম হ্যাংকস অভিনীত বহুল প্রশংসিত হলিউড সিনেমা ‘ফরেস্ট গাম্প’-এর অফিশিয়াল রিমেক। আইএমডিবি