নির্বাচনের মাঠে বড় দায়িত্ব পেয়ে আপ্লুত রাজকুমার

‘নিউটন’ ছবিতে একজন পোলিং এজেন্ট হিসেবে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার রাওআইএমডিবি

বলিউড নায়ক রাজকুমার রাওয়ের কাঁধে এক বড়সড় দায়িত্ব তুলে দেওয়া হলো। এখন থেকে শুধু বলিউড ‘মুখ’ নয়, দেশের ‘মুখ’ হিসেবেও তাঁকে দেখা যাবে। এই বলিউড তারকা এখন থেকে ভারতের জনগণকে ভোটদানের জন্য আহ্বান জানাবেন।
এবার অভিনয়ের পাশাপাশি দেশের হয়ে কাজ করতে দেখা যাবে রাজকুমার রাওকে।

আরও পড়ুন

গত বৃহস্পতিবার ভারতের নির্বাচন কমিশন এই বলিউড অভিনেতাকে ‘জাতীয় ইলেকশন আইকন’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। আগামী বছরের লোকসভা নির্বাচন আর পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজকুমারকে এই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবার থেকে তিনি ভারতীয় নাগরিকদের ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন।

পোলিং বডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভোট দেওয়ার পদ্ধতি, নির্বাচনকে ঘিরে নানা বার্তা আর জনগণকে ভোটদানের আহ্বান—রাজকুমার এসব করবেন। নতুন এ দায়িত্ব পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত রাজকুমার রাও।

নতুন এ দায়িত্ব পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত রাজকুমার রাও। এএনআই

তিনি নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এটা অনেক বড় দায়িত্ব। আর অনেক বড় সম্মানের। সত্যি কথা বলতে গেলে, আমি অত্যন্ত সম্মানিত অনুভব করছি। আমি খুবই আপ্লুত হয়েছি। এ এক বিশাল দায়িত্ব। মানুষ, বিশেষ করে যুবসম্প্রদায় এগিয়ে আসুক, আর তারা ভোট প্রদান করুক। এটা গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিষয়ের মধ্যে একটি। আর তাই আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, আর মত প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

রাজকুমার রাওকে জাতীয় আইকন হিসেবে ঘোষণা করার পর নির্বাচন কমিশনার অরুণ গোয়েল আর উপনির্বাচন কমিশনার মনোজ কুমার সাউ তাঁকে ‘ডার্লিং অব দ্য ইয়ুথ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এবার তাঁদের উদ্যোগ যে কেউ যেন ভোটদান থেকে বিরত না থাকেন। আর এ ব্যাপারে রাজকুমার তাঁদের সাহায্য করবেন।
‘নিউটন’ ছবিতে একজন পোলিং এজেন্ট হিসেবে অভিনয় করেছিলেন রাজকুমার রাও। এ ছবিতে তাঁর অভিনয় দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল। ৯০তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা বিদেশি ছবি বিভাগে এ ছবিকে পাঠানো হয়েছিল

নির্বাচন কমিশন প্রতিবার একজন জনপ্রিয় ভারতীয় নাগরিককে ‘জাতীয় আইকন’ হিসেবে তুলে ধরে। তাঁরা মূলত অভিনয় বা খেলাধুলা জগতের ব্যক্তিত্ব হন। এবারও তাঁরা এই গুরুদায়িত্ব তুলে দিয়েছেন এক অভিনেতার কাঁধে। এর আগে নির্বাচন কমিশনারের পক্ষ থেকে শচীন টেন্ডুলকার, আমির খান, মহেন্দ্র সিং ধোনি, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, মেরি কমের মতো ব্যক্তিত্বদের জাতীয় আইকন হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।