বয়স লারাকে স্বাধীনতা দিয়েছে

লারা দত্ত। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

ওটিটিতে একের পর এক দারুণ সব প্রকল্পে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী তথা সাবেক বিশ্ব সুন্দরী লারা দত্তকে। এবার ‘রণনীতি: বালাকোট অ্যান্ড বিয়ন্ড’ ওয়েব সিরিজের কারণে আবার চর্চায় তিনি। ভিন্ন প্রকল্পে তাঁকে ভিন্ন চরিত্রে দেখা যায়। তাই নিজের সিনেমার ক্যারিয়ার নিয়ে যথেষ্ট খুশি লারা।

আরও পড়ুন

অভিনেত্রী হিসেবে এখন নিজেকে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সুযোগ পাচ্ছেন লারা দত্ত। এর আগে বড় পর্দায় শুধু গ্ল্যামার গার্ল হিসেবেই দেখা যেত তাঁকে।

এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এর পেছনে দুটি কারণ আছে। প্রথমত, আমার বয়স আমাকে স্বাধীন করেছে। আমার বয়স যত বেড়েছে, আমি ততই নিরীক্ষাধর্মী কাজ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছি।

লারা দত্ত। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

শুধু গ্ল্যামারাস চরিত্রে অভিনয় করা বা এক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার প্রক্রিয়া থেকে আমি অবশেষে বের হতে পেরেছি। এখন নির্মাতাদের আমাকে দেখার নজর বদলেছে। দ্বিতীয়ত, ওটিটি আসার সঙ্গে এই বদলের সম্পর্ক আছে। এখন চলচ্চিত্র নির্মাণের সব ক্ষেত্রে মেয়েদের দাপট বেড়েছে। অভিনেত্রীদের জন্য এখন শক্তিশালী চরিত্র লেখা হচ্ছে। সিনেমা বা সিরিজের মূল চরিত্রের অভিনেত্রীকে ২০-৩০ বছরের হতে হবে, তার কোনো মানে নেই। যেকোনো বয়সী অভিনেত্রীরা এখন মূল চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন।’

জিও সিনেমার ‘রণনীতি: বালাকোট অ্যান্ড বিয়ন্ড’ সিরিজ প্রসঙ্গে লারা বলেছেন, ‘আমার বাবা সামরিক বাহিনীতে ছিলেন। আমার বাবা ভারতের হয়ে তিনটি যুদ্ধে লড়েছেন। আমার বোন কারগিল যুদ্ধে শামিল হয়েছিলেন। প্রকল্পটি নির্বাচনের এটিই মূল প্রেরণা। যুদ্ধের সময় সামরিক বাহিনীর সদস্যের পরিবারের মানুষদের কী অবস্থার মধ্যে দিন কাটে, তা আমি ভালোই অনুভব করতে পারি।

লারা দত্ত। ছবি: অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে

এই সিরিজের অংশ হওয়া আমার জন্য খুব জরুরি ছিল। এর কাহিনি শুনে মনে হয়েছিল, যথেষ্ট গবেষণা করে সিরিজটির গল্প লেখা হয়েছে। এর গল্প আমাকে দারুণভাবে প্রভাবিত করেছে। তাই প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিরিজটি করতে রাজি হয়ে যাই।’