অক্ষয়ের ফিরিয়ে দেওয়া যে ৫ সিনেমা সুপারহিট হয়েছিল
সবশেষ মুক্তি পাওয়া অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘কেশরী ২’ সিনেমাটি বক্স অফিসে মোটামুটি চলেছে। তার আগে অবশ্য সময়টা ভালো যায়নি অভিনেতার। কোভিড–১৯–এর পর থেকে যে ফ্লপের চক্করে পরেছেন, পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেননি। অথচ ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অবশ্য প্রচুর সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়েছেন অভিনেতা। এর মধ্যে কয়েকটি সিনেমা পরে সুপারহিটও হয়েছে। মিড ডে অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচ সিনেমার কথা।
‘বাজিগর’
১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া আব্বাস-মাস্তান জুটির ‘বাজিগর’ সিনেমাটি বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিল। সিনেমাটির খল চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপকভাবে আলোচিত হন শাহরুখ খান। কিন্তু ছবির জন্য তিনি প্রথম পছন্দ ছিলেন না। নির্মাতারা অনিল কাপুর, সালমান খান থেকে শুরু করে অক্ষয় কুমারকেও চরিত্রটির জন্য ভেবেছিলেন। কিন্তু অ্যান্টি-হিরো চরিত্রে অভিনয় করবেন না, তাই ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অক্ষয়।
‘সূর্যবংশম’
ই ভি ভি সত্যানারায়াণার এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন, সুরেন্দ্র, কাদের খান, অনুপম খের ছাড়াও ছিলেন রচনা ব্যানার্জি। ছবিতে প্রস্তাব পেয়েছিলেন অক্ষয়ও। কিন্তু পর্দায় নিজের বেশি বয়সী চরিত্রে অভিনয় করতে হবে শুনে রাজি হননি তিনি। পরে সেই চরিত্র করেন অমিতাভ বচ্চন। ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে।
‘ভাগ মিলখা ভাগ’
ভারতীয় অ্যাথলেট মিলখা সিংকে নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছিলেন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা। ছবিতে মিলখা সিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান ফারহান আখতার। নির্মাতারা শুরুতে চেয়েছিলেন, এ সিনেমার প্রধান চরিত্রে অক্ষয় কুমারকে নিতে। অক্ষয় নিজে চরিত্রটি পছন্দও করেছিলেন, কিন্তু অন্য একটি সিনেমার সঙ্গে শিডিউল জটিলতায় ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছাড়তে হয় অভিনেতাকে।
‘রেস’
২০০৮ সালে মুক্তি পায় আব্বাস-মাস্তানের অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমাটি। ৪৬ কোটি রুপি বাজেটের এই সিনেমা বক্স অফিসে ১০৩ কোটি রুপি আয় করে। সিনেমাটিতে অভিনয় করেন সাইফ আলী খান, অনিল কাপুর, অক্ষয় খান্না, কাটরিনা কাইফ। ছবিতে সাইফ অভিনীত চরিত্রটিতে প্রস্তাব পেয়েছিলেন অক্ষয়। কোনো এক কারণে তিনি রাজ হননি।
হলিউড সিনেমা
রেসলার থেকে বড় পর্দার অ্যাকশন তারকা বনে যাওয়া ডোয়াইন জনসনের সঙ্গে একটি হলিউডের সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন অক্ষয়।
সিনেমাটির নাম অবশ্য জানা যায়নি। তবে অক্ষয় সেই সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কারণ, তাঁর তখন মনে হয়েছিল, হিন্দি সিনেমাতেই বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।