বিজয়, জয়া থেকে কঙ্গনা, রাজনীতিতে এসে সাড়া ফেলেছেন যে ১০ তারকা

অভিনয় থেকে রাজনীতিতে এসে সাড়া ফেলেছেন দক্ষিণি তারকা থালাপতি বিজয়। তবে কেবল তিনি নন, আরও অনেক ভারতীয় তারকাই অভিনয়–দুনিয়ায় থেকে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কেউ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন ক্যারিয়ারের শেষের দিকে, কেউ আবার ফর্মের তুঙ্গে থাকার সময়ই অভিনয়কে বিদায় বলে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন। হিন্দুস্তান টাইমস ও পিংকভিলা অবলম্বনে জেনে নেওয়া যাক, এমন ১০ ভারতীয় তারকার কথা।

কেবল বিজয় নন, আরও অনেক ভারতীয় তারকাই অভিনয়–দুনিয়ায় থেকে রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন। কোলাজ

হেমা মালিনী
বলিউডের ‘বসন্তি’ হিসেবে জনপ্রিয় হেমা মালিনী দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি প্রথম রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে মথুরা লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে হেমা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক উদ্যোগে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

জয়া বচ্চন
এক্স থেকে

জয়া বচ্চন
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইস্যুতে সক্রিয় জয়া বচ্চন ২০০৪ সালে প্রথমবার রাজ্যসভার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভার সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে সমাজ ও নারীর অধিকারসংক্রান্ত বিষয়ে ভূমিকা রাখছেন।

কঙ্গনা রনৌত
ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী কঙ্গনা ২০০৬ সালে মহেশ ভাটের ‘গ্যাংস্টার’ দিয়ে অভিনয় শুরু করেছিলেন। কঙ্গনা ২০২৪ সালে বিজেপি থেকে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকেে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

স্মৃতি ইরানি। ইনস্টাগ্রাম থেকে

স্মৃতি ইরানি
টেলিভিশন অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানি ২০১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুসংক্রান্ত উন্নয়নমন্ত্রী হয়েছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করে রাজনৈতিক দুনিয়ায় নজর কাড়েন।

আরও পড়ুন

শত্রুঘ্ন সিনহা
অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা বর্তমানে তৃণমূলের আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ) থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তিনি পাটনা সাহিব থেকে নির্বাচিত ছিলেন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি মূলত শিল্পী ও শ্রমিকদের কল্যাণমূলক প্রকল্পে সক্রিয়।

কিরণ খের। এএনআই

কিরণ খের
পাঞ্জাবি চলচ্চিত্র থেকে বলিউডে নাম করা কিরণ খের বর্তমানে চণ্ডীগড় থেকে বিজেপির সংসদ সদস্য। দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও চারবার ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন পাওয়া কিরণ সামাজিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত ইস্যুতেও সক্রিয়। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি স্বাস্থ্য ও নারী কল্যাণে ভূমিকা রাখছেন।

অমিতাভ বচ্চন
অমিতাভ বচ্চন ১৯৮৪ সালে আলাহাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী এইচ এন বাহুগুনাকে পরাজিত করে ৬৮ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পান। যদিও এখন তিনি আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন।

অমিতাভ বচ্চন। এক্স থেকে

নুসরাত জাহান
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত জাহান তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বাসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে জয়ী হন। সেই সময়ে তাঁর কার্যক্রম নিয়ে বিতর্কও হয়। নুসরাতের সঙ্গে একই সময়ে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

জয়ললিতা
জয়ললিতা ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম প্রধান নারী নেতা। তিনি ১৯৬০ থেকে ৭০–এর দশকে দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। অভিনয়ের ক্যারিয়ার থেকে অর্জিত জনপ্রিয়তা তাঁকে রাজনীতিতে শক্ত ভিত্তি দিতে সাহায্য করে।

জয়ললিতা
ছবি: রয়টার্স ফাইল ছবি

১৯৭৭ সালে প্রথমবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন এবং পরে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ভারতের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পরও তিনি তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক ইতিহাসে এক কিংবদন্তি হিসেবে স্মরণীয়।

থালাপতি বিজয়
থালাপতি বিজয় তামিল সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজনীতিতে প্রবেশের ঘোষণা দেন। তিনি নিজের রাজনৈতিক দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম প্রতিষ্ঠা করেন, যা ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। সম্প্রতি তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় নিজের সমাবেশে পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় খবরের শিরোনামে তিনি। তাঁর একটি রাজনৈতিক সমাবেশে ভিড়ের চাপে পদদলিত হয়ে ৪০ জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় এক শতাধিক।