‘কামব্যাক’–এ আপত্তি নিয়েই ফিরছেন কারিশমা

কারিশমা কাপুর
ইনস্টাগ্রাম

দাম্পত্য সংকট, বিবাহ বিচ্ছেদ, এ সবকিছু নিয়ে গত কয়েক বছর বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন বলিউড নায়িকা কারিশমা কাপুর। সবকিছু সামলে এখন আবার ফিল্মি ময়দানে খেলতে নামছেন নব্বইয়ের দশকের এই সাড়া জাগানো নায়িকা। তবে ‘কামব্যাক’ শব্দে ঘোর আপত্তি কারিশমার।

নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় রীতিমতো দাপট দেখাতেন কারিশমা। ওই সময়ে সবচেয়ে আয় করা নায়িকার তালিকায় তাঁর নাম ওপরের দিকেই ছিল। কিন্তু ১১ বছর ছায়াছবির জগৎ থেকে একরকম গায়েব ছিলেন। মাঝখানে ওটিটিতে ‘মেন্টালহুড’ নামের একটি ওয়েবসিরিজ করেছেন শুধু। এবার ১১ বছর পর চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে চলেছেন তিনি। তাঁর প্রত্যাবর্তন বেশ জোরেশোরেই হচ্ছে। কারিশমাকে শিগগিরই দেখা যাবে মার্ডার মুবারক ছবিতে। হোমি অদজানিয়া পরিচালিত ছবিটি সরাসরি ওটিটিতে মুক্তি পাবে। ইতিমধ্যে কারিশমা এই রহস্য রোমাঞ্চধর্মী ছবির শুটিংও শুরু করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

এই ছবিতে কারিশমার সঙ্গে অর্জুন কাপুর ও সারা আলী খানের থাকার সম্ভাবনা প্রবল। জানা গেছে, জুটি বেঁধে এই ছবিতে আসবেন তাঁরা। কারিশমাকে বড় পর্দায় শেষ দেখা গেছে ২০১২ সালে, ‘ডেনজারাস ইশক’ ছবিতে। বক্স অফিসে সেভাবে না চললেও ছবিটাতে কারিশমার অভিনয়ের প্রশংসা হয়েছিল। তবে এটাও ছিল তাঁর ‘কামব্যাক’ ছবি। এর ছয় বছর আগে ২০০৬ সালে ‘মেরে জীবনসাথি’ ছবিতে তাঁকে বড় পর্দায় দেখা গিয়েছিল। এই ছবিতে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে এসেছিলেন তিনি।

কারিশমা কাপুর

অভিনয়ে দীর্ঘদিন অনিয়মিত থাকায় নতুন কিছু করলেই অবধারিতভাবে কারিশমার নামের সঙ্গে ‘কামব্যাক’ শব্দটি জুড়ে যায়। তবে এই শব্দ শুনে শুনে অভিনেত্রীর কান ঝালাপালা। এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে কারিশমা বলেন, ‘কই হলিউডের নায়িকাদের ক্ষেত্রে তো এ ধরনের শব্দ প্রয়োগ করা হয় না। জুলিয়া রবার্টস, মেরিল স্ট্রিপসহ অনেকেই অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। নিজেদের সতেজ করার উদ্দেশ্যে তাঁরা বিরতি নিয়েছিলেন। কিন্তু বিরতির পর এসব অভিনেত্রী যখন আবার কাজে ফিরেছিলেন, তখন কেউ বলেননি যে তাঁরা কামব্যাক করছেন। কিন্তু আমাদের এখানে অন্তঃসত্ত্বাকালীন বা অন্য কোনো কারণে নায়িকারা বিরতি নেওয়ার পর আবার কাজে ফিরলে তাঁদের ক্ষেত্রে কামব্যাক শব্দটি প্রয়োগ করা হয়। এই ধারণায় এবার বদল আসা উচিত। প্রত্যেকের জীবনের প্রাধান্য সময়ের সঙ্গে বদলাতে থাকে।’

লাল রঙের শাড়িতে চিরচেনা সাজে ছিলেন কারিশমা কাপুর।

কারিশমা আরও বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ার যেভাবে এগোচ্ছিল, তাতে আমি খুশি ছিলাম। খালিদ মহম্মদের ‘ফিজা’, শ্যাম বেনেগলের ‘জুবেইদা’র মতো ছবিতে আমি কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এদিকে আবার ডেভিড ধাওয়ানের ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’, ‘বিবি নম্বর ওয়ান’-এর মতো বাণিজ্যিক ছবিতেও কাজ করেছি।’ অভিনেত্রী জানান, অনেকেই তাঁকে বড় পর্দায় ফেরার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, পর্দায় তাঁকে দেখতে দারুণ লাগে। এ বিষয়ে কারিশমা বলেন, ‘আমি অভিনয় মিস করছি, কারণ অভিনয়ের ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। বড় পর্দার জন্য ভালো কিছুর প্রস্তাব পেলে দুহাতে তা আঁকড়ে ধরব।’

আরও পড়ুন