‘একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি’, প্রধানমন্ত্রীর কাছে পরীমনির আবেদন

পরীমনিফেসবুক থেকে

২৬ দিন পর জামিনে বেরিয়ে এসেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরীমনি। নানা কারণে আলোচিত-সমালোচিত এই অভিনেত্রী ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করে সে রকম ইঙ্গিতই দিয়েছেন। জেলখানার ২৬ দিন তাঁর জীবনকে যেন দিয়েছে নতুন এক উপলব্ধি। স্বাধীনতা যেন অন্যভাবে এসে ধরা দিয়েছে তাঁর কাছে।

পরীমনি। ছবি: ফেসবুক থেকে

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পরীমনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তার মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি।’

পরীমনির এই আকুতির মধ্যে লুকিয়ে আছে নিরাপত্তাহীনতার অন্য রকম এক স্বর। স্মৃতিকাতর পরী গতকাল হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ভক্তদের জানিয়েছিলেন নিজের লড়াই করে বেঁচে থাকার নেপথ্যের গল্প। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘একটা চিঠি। আমার সব শক্তির গল্প এখানেই।’ চিঠিতে লেখা ছিল, ‘নানু, আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শীঘ্রই দেখা দিব।’

জামিনে মুক্তি হয়ে পরীমনি
ছবি: প্রথম আলো

পরীমনি গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাঁর একমাত্র অভিভাবক, তাঁর নানু চিঠিটি তাঁকে দিয়েছিলেন। পরীমনি জানিয়েছেন, ‘আমি এটি অক্ষত রাখার চেষ্টা করছি। আটক, রিমান্ড, জেলসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শেষ পর্যন্ত আমি এটি অক্ষত রাখতে পেরেছি। এই চিঠি আমার জীবনের একটি শক্তি।’

গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে মাদকসহ পরীমনি ও তাঁর সহযোগী দীপুকে আটক করে র‌্যাব। এরপর ৫ আগস্ট র‌্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমনি ও তাঁর সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে। এরপর রিমান্ড, জেল শেষে গত ৩১ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা ও তিন বিবেচনায় পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।

পরীমনি
ছবি: ইনস্টাগ্রাম