‘সিনেমা হলে চালানোর জন্য এখন রীতিমতো যুদ্ধ করে যাচ্ছি’

খন্দকার সুমন

গত সপ্তাহে সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টারসহ দেশের পাঁচটি সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল সিনেমা ‘সাঁতাও’। দ্বিতীয় সপ্তাহেও সিনেমাটির আরও একটি প্রেক্ষাগৃহ বাড়ছে। নতুন–পুরোনো মিলিয়ে এবার সংখ্যায় একটি হল বাড়ায় খুশি নন সিনেমাটির পরিচালক খন্দকার সুমন। তিনি জানান, ‘আগে শুটিংয়ের জন্য যুদ্ধ করেছি। এখন সিনেমা হলে চালানোর জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন হল থেকে সিনেমা নামিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, হয়রানি পর্যন্ত করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

সুমন বলেন, ‘ঢাকার মধ্যে এমন না যে ঢালিউডের অন্য সিনেমা খুব ভালো ব্যবসা করছে। কিন্তু সেগুলো না নামিয়ে আমার সিনেমা নামিয়ে দেওয়া হলো। অথচ ঢাকার সিনেমা হল থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছিলাম। নিয়মিত দর্শক বাড়ছিল। দুই বছর ধরে একটি সিনেমা বানিয়ে এখন চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। অনুরোধ করেও লাভ হলো না। তাঁদের কথা, এই সিনেমা চালাবে না। “সাঁতাও” সিনেমার প্রতি তাদের একটি অবহেলা লক্ষ করলাম। এগুলো নির্মাতাদের হতাশ করে। দর্শকদের আগ্রহ থাকলেও সিনেমাটি দেশের বিভিন্ন হলে চালাতে পারছি না।’

‘সাঁতাও’ সিনেমার একটি দৃশ্য
ছবি : সংগৃহীত

দর্শকদের আগ্রহে সিনেমাটি রংপুরের শাপলা, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনে দ্বিতীয় সপ্তাহ চলবে। দিনাজপুরের মডার্ন, সিরাজগঞ্জের সিনেমা রুটস, সাভারের সেনা অডিটরিয়াম, নারায়ণগঞ্জের সেনা অডিটরিয়াম নতুন করে কাল থেকে মুক্তি পাচ্ছে। সুমন বলেন, ‘সিনেমাটি যাঁরাই দেখছেন, তাঁরাই বলছেন ভালো। শাপলা হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা ভালো দর্শক পাচ্ছে। তারা জানিয়েছে, দর্শক দ্বিতীয় তৃতীয় দিন কম থাকলেও শেষের দিকে অনেকে বেড়েছে। অনেক দর্শক ‘সাঁতাও’ দেখতেই প্রথমবার সিনেমা হলে আসছেন। এমনো হয়েছে এমস দর্শকদের মধ্যে ৯৮ ভাগ দর্শক আগে কখনোই সিনেমা হলেই আসিনি। আশা করছি, নতুন সিনেমা হলে দর্শক ভালোভাবে সিনেমাটিকে নেবেন।’

‘সাঁতাও’ সিনেমার একটি দৃশ্য

গণ–অর্থায়নে সিনেমাটি নির্মিত। পরিচালক জানান, গণ-অর্থায়নে আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ নিয়ে সিনেমার শুটিং নেমে যান। আত্মবিশ্বাস ছিল, সিনেমাটির কাজ শুরু হলে পরে থেমে থাকবে না। সেভাবেই পরিকল্পনা করে এগোতে থাকেন। এর মধ্যে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয়েছে।

‘সাঁতাও’ সিনেমার পোস্টার
ছবি: সংগৃহীত

সিনেমার কৃষক চরিত্রে অভিনয় করেন অভিনেতা ফজলুল হক ও তাঁর স্ত্রীর ভূমিকায় রয়েছেন আইনুন পুতুল। এর আগে ‘রানওয়ে’ সিনেমায় অভিনয় করে পরিচিতি পান ফজলুল। আইনুন পুতুলকে দেখা গেছে ছোট পর্দায়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রংপুর, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর ধারে সিনেমার দৃশ্য ধারণ শুরু করেন নির্মাতা। কৃষকের সংগ্রামী জীবন, নারীর মাতৃত্বের সর্বজনীন রূপ ও সুরেলা জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নায় আবর্তিত হয়েছে সিনেমার গল্প।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন