বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা যে সিনেমা
পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব। আজ সন্ধ্যা ছয়টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে অনুষ্ঠিত হয় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকের।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ১৫ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’–এর শেষ দিন ছিল আজ। ‘নোনা জলের কাব্য’ প্রদর্শনের মাধ্যমে শেষ হয় এই উৎসবের সিনেমা প্রদর্শন। এরপর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত সমকালীন সিনেমাগুলোর মধ্যে সাতটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জিতে নিয়েছে মুহাম্মদ কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’।
অন্যান্য বিভাগে পুরস্কার জিতেছে নূরুল আলম আতিক (লাল মোরগের ঝুঁটি), সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা। বিশেষ জুরি পুরস্কার পান রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত (নোনা জলের কাব্য)। সেরা চিত্রগ্রাহক সাইয়ীদ কাশেফ শাহবাজী (চন্দ্রাবতী কথা), সেরা সম্পাদক সুজন মাহমুদ (শিমু), সেরা শব্দ পরিকল্পক রিপন নাথ (ফাগুন হাওয়ায়), সেরা প্রযোজনা পরিকল্পক খন্দকার সুমন (সাঁতাও)। বিজয়ীদের নগদ অর্থ পুরস্কারের পাশাপাশি প্রদান করা হয়েছে উৎসবের স্মারক ও সনদ।
এ উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ৩৬টি সিনেমা। এর মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের সমকালীন সিনেমা রয়েছে ২৩টি। এই ২৩ সিনেমার মধ্যে ৩টি ছিল বিশেষ প্রদর্শনী আর বাকি ২০টি মনোনীত হয়েছিল পুরস্কারের জন্য। ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে সিনেমাগুলো দেখানো হয়েছে। সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদি চলচ্চিত্র ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত—পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে সিনেমাগুলো বাছাই করেছে শিল্পকলার নির্বাচন কমিটি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়োছিল ১৫ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। এই উৎসবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে একযোগে সিনেমাগুলো প্রদর্শন করা হয়।