জায়েদের কাছে সব খুলে বললেন মাহি
ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত মুখ জায়েদ খান ও মাহিয়া মাহি—দুজনই এখন দেশের বাইরে। চিত্রনায়ক জায়েদ খান এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। আর চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি আছেন সেখানেই, ভিন্ন বাস্তবতা ও ভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে নিয়মিত স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত দেখা গেছে জায়েদ খানকে। একসময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চিত্রনায়িকা নিপুণের সঙ্গে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়ানো জায়েদ খান সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এলেন। তবে এবার অভিনেতা হিসেবে নয়, উপস্থাপক পরিচয়ে।
সম্প্রতি ‘ঠিকানা নিউজ’ নামে একটি অনলাইন গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়েছে জায়েদ খানের উপস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠানের একাধিক ভিডিও। সেখানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ও দেশের জনপ্রিয় বেশ কয়েকজন তারকা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী কনা, উপস্থাপক ও অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়, একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মোনালিসা, সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সর্বশেষ পর্বে মাহিকেই প্রধান অতিথি হিসেবে দেখা গেছে।
অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত যাত্রা নিয়ে খোলামেলাভাবে কথা বলেন মাহিয়া মাহি।
জায়েদ খানের প্রশ্নের উত্তরে সিনেমা নিয়ে নিজের অপূর্ণ আক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন এই নায়িকা। মাহি বলেন, মানুষের চাওয়ার তো শেষ নেই। তাঁর মতে, এখনো অনেক গল্প, অনেক চরিত্র পর্দায় তুলে ধরার সুযোগ পাননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে বিশেষভাবে টানেন কিংবদন্তি চিত্রনায়িকা শাবনূরের উদাহরণ। মাহির ভাষায়, শাবনূরের করা প্রতিটি চরিত্রই তাঁকে গভীরভাবে টানে। ‘শাবনূর ম্যাডামের সব চরিত্রই আমার খুব পছন্দ। তাঁকে আমি ভীষণ ভালোবাসি। তিনি আমার আইডল। সুযোগ পেলে এমন কোনো চরিত্র করতে চাই, যেগুলো তিনি একসময় করেছেন,’ বলেন মাহি।
দেশের কথা উঠতেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন মাহিয়া মাহি। দেশে কাকে সবচেয়ে বেশি মিস করেন—এ প্রশ্নে সরাসরি উত্তর দেন, ‘আমার মা আর আমার ছেলে।’
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে উঠে আসে মাহির চলচ্চিত্রে আসার শুরুর গল্প। স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, তাঁর জীবনের প্রথম অডিশনটি নিয়েছিলেন জায়েদ খান নিজেই। সময়টা ২০১১ সালের মাঝামাঝি। তখন খুব শুকনা হওয়ার কারণে তাঁকে ওই অডিশনে বাদ দেওয়া হয়েছিল। যদিও অনুষ্ঠানে জায়েদ খান জানান, সে ঘটনা তাঁর স্পষ্ট মনে নেই।
অডিশনের পর এক ফটোশুটে অংশ নেন মাহিয়া মাহি। সেই ছবিগুলো দেখে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানেও শর্ত ছিল—এক সপ্তাহের মধ্যে ওজন বাড়িয়ে আসতে হবে। মাহির কথায়, সেই সাত দিন প্রাণপণে চেষ্টা করেও এক কেজি ওজনও বাড়াতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত মোটা দেখায়—এমন পোশাক পরেই সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হন। সেই চলচ্চিত্রের নাম ছিল ‘ভালোবাসার রঙ’।
নিজের এ যাত্রার গল্প বলতে গিয়ে মাহি যেন আবার ফিরিয়ে নিলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রে তাঁর শুরুর দিনগুলোর সংগ্রাম, স্বপ্ন আর না-পাওয়ার স্মৃতিগুলো।