অনেকে আমার লুকের প্রশংসা করেছে...

চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’ দিয়েই বিনোদন অঙ্গনে পথচলা মন্দিরা চক্রবতীর। এরপর নাটকে অভিনয় করেন। এখন বড় পর্দায় কাজ করছেন। প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ মুক্তির অপেক্ষায়। গতকাল সন্ধ্যায় ছবির প্রচারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছে ‘বিনোদন’

প্রথম আলো:

প্রথম সিনেমা ‘কাজলরেখা’ মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেমন লাগছে?

সত্যি বলতে, জীবনের অন্য রকম সেরা সময় কাটছে। এই অনুভূতি প্রকাশের ভাষা নেই। নিজেকে বড় পর্দায় দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। জানি না কবে সেই দিনক্ষণ আসবে। তবে শুনেছি, শিগগিরই হবে। দর্শকদেরও আর বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না।

প্রথম আলো :

‘কাজলরেখা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন কীভাবে?

‘সেরা নাচিয়ে’র পর নাটকে অভিনয় করছিলাম। এমন সময় কয়েকজন পরিচালক তাঁদের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু গল্প ও অন্য কিছু বিষয় পছন্দ না হওয়ায় রাজি হইনি। এরপর গিয়াস উদ্দিন সেলিম ভাইয়ের কাছে গল্পটা শুনে চোখ বন্ধ করে রাজি হয়ে যাই। মনে মনে বলছিলাম, আরে, এমন গল্পের জন্যই তো এত দিন অপেক্ষা করছি!

১ / ১৬
মন্দিরা চক্রবতী
প্রথম আলো:

এ ধরনের সিনেমার জন্য তো দীর্ঘ প্রস্তুতির দরকার হয়। আপনার প্রক্রিয়া কী ছিল?

তিন বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছি। অনেক ধরনের বই পড়তে দিয়েছিলেন সেলিম ভাই। এর বাইরে বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে বলতেন। শুধু ‘কাজলরেখা’ নয়, বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে বলতেন। এভাবে চলতে চলতে একদিন পরিপূর্ণ কাজলরেখা হয়ে উঠি। এটা আমার অভিনয়জীবনের অন্যতম একটা দারুণ ভ্রমণ। মহড়া ও ছবিটি করতে গিয়ে আমি যা যা শিখেছি, তা আমার অভিনয়ের পরবর্তী জীবনে দারুণভাবে কাজে দেবে।

আরও পড়ুন

প্রথম আলো :

কবে প্রথম বুঝলেন আপনি ‘কাজলরেখা’ হয়ে উঠেছেন?

যেদিন শুটিং ফ্লোরে গেলাম, সেদিনই। শুটিংয়ের আগে অনেক দিন গ্রুম করেছি। ক্যামেরার সামনে গিয়ে নিজেকে নতুন মনে হয়নি। তবে গ্রুম না করলে এই চরিত্র করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। শুটিংয়ে যাওয়ার আগে অনেক নার্ভাস ছিলাম। ভাবতাম, ক্যামেরার সামনে অভিনয় পারব না, সব ভুলে যাব। পরিচালকের কাছে বকা খাব। প্রথম দিন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে সেই ভয় চলে যায়। এরপর একদিন পরিচালক সেলিম ভাই বলেন, ‘কী রে মন্দিরা, অভিনয়টা শিখে গেলি।’ সেলিম ভাইয়ের কথাটি আজও আমার কানে বাজে। আমার মতো একজন তরুণ অভিনেত্রীর জন্য এই মাপের পরিচালকের এমন কথা ভীষণ প্রেরণার।

প্রথম আলো:

এই পরিচালকের আগের ছবিগুলো কি দেখা হয়েছে?

সব দেখেছি। প্রথম ছবি ‘মনপুরা’ তো আমার সব সময়ের প্রিয়। আমি সম্ভবত তখন স্কুলে পড়ি, মায়ের সঙ্গে খুলনায় একটা হলে ছবিটা দেখেছি। ‘স্বপ্নজাল’সহ বাকিগুলো দেখা।

কাজলরেখায় মন্দিরা চক্রবতী
শিল্পীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

ছবি মুক্তির দিন যতই এগিয়ে আসছে, কেমন অনুভূতি হচ্ছে?

খুবই ভালো লাগছে। খুব রোমাঞ্চিত। দর্শকের সামনে ‘কাজলরেখা’ হয়ে আসছি, এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। তবে দর্শকেরা কীভাবে নেবে, কেমন ভালোবাসবে, আসলে কিছুই জানি না। এ জন্য নার্ভাসও। ছবির লুক ও গান প্রকাশের পর যেখানেই যাই, সবাই কাজলরেখা সম্পর্কে জানতে চায়। অনেকে আমার লুকের প্রশংসা করেছে।

প্রথম আলো:

আপনার অভিনয়ের শুরুটা কীভাবে?

‘সেরা নাচিয়ে’ রিয়েলিটি শো দিয়ে শুরু। এরপর ওয়াহিদ আনামের নাটক দিয়ে অভিনয়ের শুরু। তার আগে শুধু নাচ নিয়েই ছিলাম।

প্রথম আলো :

এর মধ্যে আর কী কাজ করলেন, কী আসবে?

নতুন একটি চলচ্চিত্রে কাজ করলাম। ‘নীল চক্র’ নামে এই চলচ্চিত্রে আমার সহশিল্পী আরিফিন শুভ। তিনি আমার ছোটবেলার ক্রাশ। তাঁর অভিনয়ের ভক্ত আমি। এখন তাঁর বিপরীতে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করছি। খুব ভালো লাগছে।

প্রথম আলো:

অভিনয় নিয়ে পরিকল্পনা...

ভালো ভালো চরিত্রে কাজ করতে চাই। এমন সব চরিত্রে কাজ করতে চাই, যাতে মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখে।

চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘সেরা নাচিয়ে’ দিয়েই বিনোদন অঙ্গনে পথচলা মন্দিরা চক্রবতীর
ভিডিও থেকে

প্রথম আলো :

নাচের মেয়ে মন্দিরার নাচের খবর কী?

মাঝেমধ্যে নাচের অনুষ্ঠান করা হয়। তবে নিয়মিত নাচের চর্চাটা চালিয়ে যাচ্ছি।