স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় পরিচালক সোহান

পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান ও স্ত্রী প্রিয়া রহমানছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে গতকাল বুধবার সকালে স্ত্রীকে সমাহিত করে ঢাকায় ফেরেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান। জীবনসঙ্গী প্রিয়া রহমানের শোকে কাতর ছিলেন সোহান, শরীরটাও ভালো যাচ্ছিল না। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উত্তরার বাসায় ঘুমের মধ্যে মারা যান ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার এই পরিচালক। ২৪ ঘণ্টার কম সময়ের ব্যবধানে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় একই কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছে পরিচালক সোহানকে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মারা গেছেন ৬৪ বছর বয়সী এই পরিচালক। বগুড়ায় জন্ম নেওয়া সোহানের শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলে। স্ত্রীর কবরের পাশেই তাঁকে সমাহিত করার ইচ্ছাপোষণ করে গেছেন সোহান। বুধবার মধ্যরাতে সোহানের মরদেহ টাঙ্গাইলের রেজিস্ট্রি পাড়ার শ্বশুরবাড়িতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে টাঙ্গাইলের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড মসজিদে জানাজা শেষে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁকে।

সোহানুর রহমান সোহান
প্রথম আলো

এর আগে উত্তরার বাসায় তাঁর প্রথম জানাজা হয়েছে। সোহানের মৃত্যুর খবরে চিত্রনায়ক শাকিব খান, রিয়াজ, ফেরদৌস, নিপুণসহ ঢাকাই সিনেমার পরিচালক ও শিল্পীরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে যান। তবে সোহানের মরদেহ এফডিসিতে নেওয়া হয়নি। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁদের মধ্যে দুই মেয়ে দেশেই থাকেন। একজন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেন।

সত্তরের দশকের শেষ ভাগে নির্মাতা শিবলী সাদিকের সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে আসেন সোহান। ১৯৮৮ সালে ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’ সিনেমা দিয়ে পরিচালনায় নাম লেখান। ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নির্মাণ করে খ্যাতি পান। চার দশকের ক্যারিয়ারে রোমান্টিক সিনেমা নির্মাণ করে পরিচিতি পেয়েছেন সোহান। ‘অনন্ত ভালোবাসা’, ‘আমার জান আমার প্রাণ’, ‘কোটি টাকার প্রেম’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’সহ বহু সিনেমা নির্মাণ করেছেন সোহান। ১৯৫৯ সালের ১৫ অক্টোবর বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ফুলবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন সোহান। বগুড়া ও জয়পুরহাটে স্কুল ও কলেজজীবন শেষে ঢাকায় আসেন তিনি।

আরও পড়ুন