‘নোনা জলের কাব্য’ দিয়ে শেষ হচ্ছে উৎসব

‘নোনা জলের কাব্য’ সিনেমর দৃশ্য

‘নোনা জলের কাব্য’ দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে দেশীয় চলচ্চিত্র উৎসব। দীর্ঘ সাত বছর পর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করেছে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব’। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া ১৫ দিনব্যাপী এই উৎসব শেষ হতে যাচ্ছে আজ। শেষ দিনে জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও ৬৪ জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে বেলা ৩টায় প্রদর্শিত হবে সিনেমা ‘মুজিব আমার পিতা’। এরপর বিকেল ৪টায় প্রদর্শিত হবে সিনেমা ‘নোনা জলের কাব্য’।

আরও পড়ুন

এরপর সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত থাকবেন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকের। এই অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করা সমকালীন সিনেমাগুলোকে সাতটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে।

এই উৎসবে মোট প্রদর্শিত হয়েছে ৩৬টি সিনেমা। ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলার শিল্পকলা একাডেমিতে সিনেমাগুলো দেখানো হয়েছে। উৎসবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সমকালীন চলচ্চিত্র, নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, ধ্রুপদি চলচ্চিত্র ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত—পাঁচটি ভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে সিনেমাগুলো বাছাই করেছে শিল্পকলার নির্বাচন কমিটি।
৩৬টি সিনেমার মধ্যে ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের সমকালীন সিনেমা রয়েছে ২৩টি। সমকালীন এসব সিনেমাকে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা, বিশেষ জুরি, শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক, শ্রেষ্ঠ সম্পাদক, শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পক ও শ্রেষ্ঠ প্রযোজনা পরিকল্পক—সাতটি ক্যাটাগরিতে নগদ অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া দেওয়া হবে উৎসব স্মারক ও সনদ।

পুরস্কার প্রদানের লক্ষ্যে সাত সদস্যের জুরিবোর্ড গঠন করা হয়েছিল। জুরিবোর্ডের চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র নির্মাতা ও শিক্ষক মসিহউদ্দিন শাকের। সদস্য হায়দার রিজভী, মোরশেদুল ইসলাম, পঙ্কজ পালিত, গাজী রাকায়েত। পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন ২০ জন। মনোনীত ২০ জনের মধ্য থেকেই অনুষ্ঠানে চুড়ান্ত বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে সব চলচ্চিত্র নির্মাতাকে নিয়ে থাকছে প্রীতি সম্মেলন।