‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি

অভিযোগ জানানোর দেওয়ার দুই দিনের মাথায় দুজনকে গ্রেপ্তার করল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগছবি: রেদওয়ান রনি

গত ঈদে মুক্ত পাওয়া ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার পাইরেসির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইমামুল কবির ও মনিরুল শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। আজ শনিবার বিকেল চারটার দিকে ডিবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।
ছবিটি পাইরেসি হওয়ার পর ২৭ জুলাই ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে অভিযোগ দিয়েছিলেন ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিল, পরিচালক রায়হান রাফী ও দুই অভিনয়শিল্পী আফরান নিশো, তমা মির্জা। সেখানে পাইরেসির সঙ্গে জড়িত প্রাথমিকভাবে শনাক্ত ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। অভিযোগ জানানোর দেওয়ার দুই দিনের মাথায় দুজনকে গ্রেপ্তার করল ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।

আজকের সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘গত পরশু “সুড়ঙ্গ” ছবির প্রযোজক পরিচালক, নায়ক ও নায়িকা আমাদের কাছে এসেছিলেন। ছবিটির পাইরেসি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। “সুড়ঙ্গ” ছবিটি বর্তমান দেশ-বিদেশে সাড়া ফেলেছে। প্রচুর দর্শক দেখছেন ছবিটি। ঠিক সে সময়েই একটি চক্র ছবিটি পাইরেসি করে সিনেমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে ইউটিউব, ফেসবুকসহ নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। যাতে করে ছবিটি দেখতে দর্শকেরা হলবিমুখ হন। এটি  আইনের দৃষ্টিতে বড় অপরাধ।

পাশাপাশি এই ছবির প্রযোজকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অপচেষ্টা। সর্বপুরি পুরো ইন্ডাস্ট্রির ক্ষতি করার অপচেষ্টা। ইতিমধ্যে এই পাইরেসির সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। তাঁরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ
সংগৃহীত

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, ‘“সুড়ঙ্গ” টিম আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরপরই আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছিলাম। কথামত অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছবিটি পাইরেসি করে ইউটিউব, ফেসবুকে ছেড়েছেন, তাদের পাশাপাশি যাঁরা শেয়ার করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, তাঁদেরও আইনের আওতায় আনব। সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।’

আরও পড়ুন

ছবিটির পাইরেসি নিয়ে এরই মধ্যে ছবির অন্যতম প্রযোজক আলফা আই লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার করিম ভূঁইয়া (শাকিল) বনানী থানায় একটি মামলা করেছেন।

আরও পড়ুন
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি
সংগৃহীত

দ্রুততম সময়ে অপরাধী আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে ছবির আরেক প্রযোজক চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘গ্রেপ্তার করাটা অপরাধ চক্রটির জন্য একটি বার্তা। দ্রুত সময়েই ডিবিপ্রধানের নেতৃত্বে এটি সম্ভব হয়েছে। এটি সিনেমার জন্য ইতিবাচক। আমরা ডিবিপ্রধানের কাছে কৃতজ্ঞ।’

আরও পড়ুন