ভিডিওটি বানিয়েও বিপদে আরিফিন শুভ

আরিফিন শুভ। ছবি: ফেসবুক থেকে

বডি বিল্ডিং নিয়ে তথ্যচিত্র বানিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছেন ঢালিউড তারকা আরিফিন শুভ। ইউটিউবে প্রকাশিত তাঁর বডি বিল্ডিংয়ের তথ্যচিত্রের ভিডিওটির মন্তব্যের ঘরে নেতিবাচক ও কটু মন্তব্য করছেন অনেকে। এ নিয়ে কিছুটা বিরক্ত ও হতাশ এই অভিনেতা। পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেসবুকে এ নিয়ে লিখেছেন তিনি। যেন সেই ভিডিওটি বানিয়ে যেন আরেক বিপদে পড়েছেন শুভ।

শুভর বডি বিল্ডিংয়ের তথ্যচিত্র ‘আরিফিন শুভ ট্রান্সফরমেশন: আ ফ্যাট টু ফিট’ প্রকাশের পর তাঁর ভক্তদের মধ্যে বেশ সাড়া পড়ে যায়। তাতে বেশ উচ্ছ্বসিতই ছিলেন শুভ। তবে সেই আমেজে কিছুটা ভাটা পড়ে একশ্রেণির দর্শকের কটু মন্তব্যে। সেখানে এ অভিনেতার ৯ মাসের পরিশ্রমকে একপ্রকার হেয় করা হয়েছে।

আরিফিন শুভ। ছবি: ফেসবুক থেকে

সিনেমার একটি চরিত্রের জন্য ৯ মাস খেটে শরীরের নতুন গড়ন তৈরি করেছেন শুভ। রাতদিন ব্যায়ামাগারে করতে হয়েছে হাড়ভাঙা খাটুনি। সেই সময়ের স্মৃতি ধরে রাখার পাশাপাশি গড়ন বদলের একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন তিনি। ইতিমধ্যে ইউটিউবে সেটি দেখা হয়েছে ২৭ লাখের বেশি। সেখানে কিছু মানুষ মন্তব্য করেছেন, এটা কোনো বিষয়ই নয়। বডি ট্রান্সফর্ম একটা মামুলি ব্যাপার। এসব আদতে সত্য নয়। একজন লিখেছেন, ‘বস, এইগুলা এডিট করা যায়।’

যাঁরা বলেন, এটা সহজ ব্যাপার, কোনো বিষয় নয়, তাঁদের জন্য এই ভিডিওটি দিয়েছি। কারণ তাঁরা জ্ঞান থেকে বহু দূরে রয়েছেন
শুভ

বিরক্ত শুভ বলেন, ‘সব জায়গায় কিছু বোকা মানুষ থাকে। তারা কোনো কথাই লজিক দিয়ে বলে না। অজ্ঞতায় তাদের বসবাস। কথায় আছে, সমালোচিত হতে যোগ্যতা লাগে, কিন্তু সমালোচনা করতে যোগ্যতা লাগে না।’

তবে বেশির ভাগ মানুষ শুভর ওই ভিডিওটির প্রশংসা করেছেন। এস এম উজ্জ্বল সেখানে লিখেছেন, ‘সত্যি খুব ভালো চেষ্টা। আপনি সফল হবেন।’ অনিক হাসান লিখেছেন, ‘কেউ বাংলা ছবির জন্য নিজেকে এত ফিট করতে পারে, সেটা দেখেছি বলে বিশ্বাস করলাম।’ মেঘলা ফকির লিখেছেন, ‘অনেক তরুণের জন্যই আপনি অনুপ্রেরণা।’

আরিফিন শুভ। ছবি: প্রথম আলো

শরীরের গড়ন বদলানোর এই মিশনের পর নানা রকম সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আরিফিন শুভ। প্রায় ১০ মাস আগে শুটিং শেষ হলেও এখন পর্যন্ত তাঁকে ভোগাচ্ছে পায়ের ক্ষতটি। সেটি নাকি আরও দীর্ঘদিন ভোগাবে। নিন্দুকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের বুঝতে হবে আমি বডি বিল্ডার নই। এটা আমার পেশাও নয়। যেটা করেছি, সেটা একটি চরিত্রের প্রয়োজনে করছি। এরপরও শরীরকে এই কাঠামো দিতে আজ থেকে ১০ মাস আগে যে পরিমাণ দুর্ঘটনা, শারীরিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটা তাঁরা বুঝতেই পারবেন না। যদিও এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম, ১০ জনে ১ জন। এরপরও মাঝেমধ্যে বিরক্ত লাগে।’

নিন্দুকদের উদ্দেশেই যেন ফেসবুকে নতুন আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন এ অভিনেতা। সেই ভিডিওটি নিয়ে শুভ বলেন, এখন যে ফিজিওথেরাপি চলছে, সেটার মধ্যে আছে আকুপ্রেসার। সেই প্রক্রিয়ায় একগুচ্ছ সুচ পেশিতে প্রবেশ করাতে হয়। এগুলো যতক্ষণ ব্যথার জায়গায় না পৌঁছায়, থেরাপিস্ট ততক্ষণ পর্যন্ত সুচগুলো নাড়তে থাকেন। ব্যথা লাগলেই সুচগুলো ছাড়েন। যাঁরা বলেন, এটা সহজ ব্যাপার, কোনো বিষয় নয়, তাঁদের জন্য এই ভিডিওটি দিয়েছি। কারণ তাঁরা জ্ঞান থেকে বহু দূরে রয়েছেন।

আরিফিন শুভর হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি ছবি। সেগুলোর শিডিউল নিয়ে তিনি বেশ বেকায়দায় আছেন। কারণ সব কটি ছবির প্রযোজকই একই সময়ে তাঁকে নিয়ে কাজ করতে চান। এদিকে শুভর মায়ের শরীরও তেমন ভালো নয়। মাকে নিয়ে হাসপাতাল এবং বাড়িতে দৌড়ঝাঁপ করতে হচ্ছে তাঁকে।