‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর জন্য সবাই লামিয়া হিসেবেই চেনেন

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এ তৃতীয় মৌসুম দিয়ে অভিনয়ের ক্যারিয়ার শুরু। এরপর ‘অসময়’, ‘টাকার মেশিন’ ও ‘হোটেল রিল্যাক্স’-এ অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন লামিমা লাম। অভিনয়সহ নানা বিষয়ে গতকাল তরুণ এই অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো।

প্রথম আলো:

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ তো আপনার প্রথম নাটক। তার আগে তো মনে হয় অভিনয়ও করতেন না। তাহলে এই দুনিয়ায় এলেন কী করে?

লামিমা লাম : ২০২০ সালে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর শুটিং হয়েছিল নোয়াখালীতে। সেখানকার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলতে পারে—এমন অভিনয়শিল্পী খোঁজা হচ্ছিল। তখন অডিশন ভিডিও পাঠাই। নোয়াখালীর মেয়ে হিসেবে ভাষা নিয়ে সমস্যা না হলেও অভিনয়ের তেমন কিছুই জানতাম না। এরপরও আমাকে নির্বাচন করা হয়। পরিচালক (কাজল আরেফিন) অমি ভাই থেকে শুরু করে টিমের সিনিয়র অভিনয়শিল্পীরা অনেক সাপোর্ট করেছেন। তাঁদের কাছেই আমার গ্রুমিং হয়। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর প্রতিটি দৃশ্যের আগে মহড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটা অনেক কাজে দিয়েছে। পাঁচ বছরে অনেক পরিচিতি ও মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, পাচ্ছি। লামিয়া চরিত্রটি দর্শকেরা আপন করে নিয়েছেন।

লামিমা লাম। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

আপনার নাম লামিমা আর নাটকে আপনার চরিত্রের নাম লামিয়া। নামের মতো বাস্তবেও কি চরিত্রটার সঙ্গে আপনার মিল আছে?

লামিমা লাম : আমার নাম লামিমা হলেও ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর জন্য সবাই এখন আমাকে লামিয়া হিসেবেই চেনেন। চরিত্রটা যতটা বহির্মুখী, ব্যক্তিজীবনে আমি তার পুরোই বিপরীত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চরিত্রটির ব্যাপ্তি বেড়েছে। দর্শকের ভালোবাসার সঙ্গে নির্মাতা আস্থা রেখেছেন বলেই হয়তো এমনটা হয়েছে।

লামিমা লাম। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

কোনো একটা চরিত্রের জন্য নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করেন?

লামিমা লাম : নতুন কোনো কাজে যুক্ত হওয়ার আগে চিত্রনাট্য ভালো করে পড়া হয়। চরিত্রটা কেমন হতে পারে, সেটা নিয়ে নিজের ভেতরে একটা কল্পনার জগৎ তৈরি করি। যাতে আগের কোনো চরিত্রের পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে আমি ভীষণ সচেতন। চরিত্রটির ভাষা, আচরণ, অভিব্যক্তি—সবকিছুই শুটিংয়ে যাওয়ার আগে নিজের মধ্যে গেঁথে রাখি। হয়তো সব সময় শতভাগ নিখুঁত হতে পারি না, কিন্তু চরিত্রটা যেন প্রাণ পায়, সে জন্য সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করি।

লামিমা লাম। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে

প্রথম আলো :

অভিনয়ের বাইরে অবসরে কী করেন?

লামিমা লাম : গান শুনি, বিদেশের সিনেমা-সিরিজ দেখি, দেশের অন্যদের কাজও দেখা হয়। যখন কাজ কম থাকে, তখন সহকর্মী থেকে অগ্রজদের কাজ দেখি। এক্সপ্রেশন কেমন হবে, কীভাবে সংলাপ বলতে হবে, শেখার চেষ্টা করি। আমি তো কোনো রিয়েলিটি শো থেকে আসিনি, আবার মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তাই অন্যের কাজ দেখেই শিখছি। সময় পেলে ঘোরাফেরা করি। নতুন নতুন জায়গায় যেতে ভালো লাগে।

লামিমা লাম। ছবি: অভিনেত্রীর সৌজন্যে
প্রথম আলো:

সর্বশেষ কোন সিনেমা-সিরিজ দেখা হয়েছে?

লামিমা লাম : সর্বশেষ বাইরের ‘সাইয়ারা’ দেখেছি। ঈদে মুক্তি পাওয়া তাণ্ডব দেখা হয়েছে। এ ছাড়া ‘স্কুইড গেম’-এর তৃতীয় মৌসুম দেখেছি। রোমান্টিক ঘরানার ‘সাইয়ারা’ অনেক ভালো লেগেছে। গানগুলোও শ্রুতিমধুর। নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে এমন একটা সিনেমা দিয়ে, হিংসা হয়েছে। আর ‘তাণ্ডব’ সিনেমায় দেশের অনেক গুণী অভিনয়শিল্পী অভিনয় করেছেন, ছবিটি যেমন বিনোদন দিয়েছে, তেমনই জয়া (আহসান) আপুর অভিনয় দুর্দান্ত লেগেছে। এত লম্বা একটা ক্যারিয়ার, তাঁকে নিয়ে গর্ব হয়।

প্রথম আলো :

আর কোন অভিনেত্রীর অভিনয় ভালো লাগে?

লামিমা লাম : সবাই সহকর্মী, কাকে রেখে কার কথা বলি! মেহজাবীন (চৌধুরী) আপু ও তানজিন তিশার অভিনয় আমার ভালো লাগে। তাঁদের সব কাজই দেখা হয়। এর বাইরে আমাদের সমসাময়িক যাঁরা আছেন, সবার কাজ উপভোগ করি।

আরও পড়ুন