‘প্ল্যান বি’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা চলছে।
রাফাহ্ তোরসা: এটা বিশেষ করে জেন–জি দর্শকের কথা মাথায় রেখে নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সহশিল্পী হিসেবে রাকিন (আবসার), ফাহিম (শেতাব), ইশরাত (জাহীন আহমেদ), রুদ্রকে (সাদাত কবির) পেয়েছি। আনন্দ নিয়ে কাজটা করেছি। এটি কোয়ালিটি ফান কনটেন্ট, অনেকে পছন্দ করছেন। তবে কনটেন্টটা রিলিজের সময় থেকে আমি ঢাকার বাইরে, ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী মহেশপুরে মাটি নামে একটি সিনেমার শুটিং করছি। এখানে মাঝেমধ্যে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। বলা যায়, আমি নেটওয়ার্কের বাইরেই ছিলাম।
মহেশপুরে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
রাফাহ্ তোরসা: খুবই অদ্ভুত সুন্দর অভিজ্ঞতা। লোকেশন, কাজ, স্টোরি—সবকিছু মিলিয়ে দারুণ ভাইব ও লুকের একটা কাজ করছি। আমি বলব, গতানুগতিক যে ধরনের কমার্শিয়াল সিনেমা দেখি, সেই তুলনায় মাটি একেবারেই আলাদা। শুটিংয়ের সময় এমনটাই ফিল হচ্ছে, বাকিটা দর্শকের ওপর নির্ভর করছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, একসঙ্গে কাজ করতে গেলে টিমটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমার ডিরেক্টর থেকে কো–আর্টিস্ট—প্রত্যেকেই দারুণ। ইটস আ রিয়েলি গুড এক্সপেরিয়েন্স।
কনটেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দেন?
রাফাহ্ তোরসা: সবার আগে মাথায় থাকে সিনেমার টিমটা কেমন। প্রোডাকশন টিম, ডিরেক্টোরিয়াল টিমটা কেমন, এসব বিবেচনা করি। পাশাপাশি অবশ্যই গল্পটা ম্যাটার করে।
সিনেমা, সিরিজ নাকি নাটক—কোন মাধ্যমকে প্রাধান্য দেবেন?
রাফাহ্ তোরসা: সিনেমাকে সবচেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দেব। এরপর ওটিটি, তারপর নাটক তো আছেই। আমি খুব বেশি নাটক করিনি। তবে এ বছর চার–পাঁচটি নাটক করেছি।
আপনার প্রথম সিনেমা ‘নির্জন স্বাক্ষর’ এখনো মুক্তি পায়নি। সিনেমাটির কী খবর?
রাফাহ্ তোরসা: সিনেমাটিতে আমার সহশিল্পী ছিল খায়রুল বাসার, সে আমার খুবই ভালো বন্ধু। ছবিটা কবে মুক্তি পাবে, এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানের ভিডিওটি আপনার ক্যারিয়ারে কতটা পরিবর্তন করেছে?
রাফাহ্ তোরসা: হুট করেই কাজটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। প্রস্তাব পাওয়ার পর দ্বিধায় ছিলাম, কাজটা করব কি করব না। পরে গানটা শুনে খুব ভালো লেগেছে। গানটা অনেক মানুষ পছন্দ করেছেন, ভালোবেসেছেন। বছরখানেক আগে গানটা প্রকাশিত হয়েছে, এখনো গানটার কথা অনেকে মনে রেখেছেন। এখনো অনেকের সঙ্গে দেখা হলে গানটার কথা বলেন।
আপনার পডকাস্ট শো ‘শি’র প্রথম মৌসুম আলোচিত হয়েছিল, পরের মৌসুম কবে আসবে?
রাফাহ্ তোরসা: আশা করছি শিগগিরই দ্বিতীয় মৌসুম শুরু করব। আমি সচরাচর উপস্থাপনাকেন্দ্রিক কাজ করি না। তবে এখানে কাজের অভিজ্ঞতা দারুণ। এখানে উইমেনহুড নিয়ে কথাবার্তা বলি। সমাজের নানা শ্রেণি–পেশার নারীরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। শোতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করি। ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ’ হিসেবে আমার একটা দায়িত্বও রয়েছে। সেই জায়গা থেকে শোটির মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।