প্রকাশের দেড় মাস পর হঠাৎ গানটা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে...
রিলস, টিকটকের যুগে কখন কোন গান ছড়িয়ে পড়ে, সেটা আসলে বলা কঠিন। আমি, শুভেন্দুদাসহ টিমের সবাই অবাক হয়েছি। ‘গুলবাহার’ শুরুতে না ছড়ালেও রেসপন্স ভালো ছিল। কাছের মানুষজন ও নিয়মিত শ্রোতারা আমাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন ও অনুপ্রাণিত করেছেন। গানে কিংবা ভিডিওতে যেসব বিষয় ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলাম, দর্শকেরাও সেটা লক্ষ করেছেন। আমাদের কাজের প্রশংসা করেছেন। গানটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে যাওয়ায় আরও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছে। এ কারণে আমরা সব বয়সী মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। আমাদের প্রাপ্তি, আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পেরেছি।
কোন ভাবনা থেকে গানটা লিখলেন?
দুই থেকে আড়াই বছর আগের ‘গুলবাহার’ একটি এক্সপেরিমেন্টাল লেখা বা গল্প বলতে পারেন। বেশি কিছু মনে নেই, কিন্তু হঠাৎ গায়েব হয়ে যাওয়া কোনো এক অধরা প্রেমকাহিনি। বাস্তবে যাকে সবাই চেনে, জানে; ‘গুলবাহার’ থাকবে প্রেমিকের অনুভবে, শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায়।
সুরে মেলোডির আশ্রয় নিলেন কেন?
মেলোডিনির্ভর গানগুলো শ্রোতাদের মনে শান্তি ও একধরনের ঘোর তৈরি করতে পারে। মেলোডি দিয়ে নস্টালজিকভাবে মানুষকে গানের সঙ্গে যুক্ত করানো যায়। মেলোডিনির্ভর গান সব বয়সী শ্রোতাকে আকর্ষণ করতে পারে। ‘গুলবাহার’ গানের মধ্যে যে মেলোডি আছে, সেটা মেলোডির মাধ্যমেই সবচেয়ে ভালোভাবে প্রকাশ করা সম্ভব। এ জন্যই আসলে মেলোডিকে নির্বাচন করেছি।
পুরান ঢাকায় গানটির ভিডিও চিত্রের শুটিং করেছেন।
পুরান ঢাকা খুবই ব্যস্ত জায়গা। এ কারণে শুটিং করা চ্যালেঞ্জিং ছিল। ওই সময় গরম থাকায় ভালোই বেগ পেতে হয়েছে। দিন শেষে পুরান ঢাকার মজার মজার খাবার খেয়ে উৎফুল্ল হয়ে বাসায় ফিরেছি।
হোসনে আরা গুলবাহার নামটা নেওয়ার বিশেষ কোনো কারণ আছে?
না। তেমন কোনো কারণ নেই। একটা নাম খুঁজছিলাম, এটাই প্রথম মাথায় এসেছে। পাশাপাশি পুরান ঢাকার সঙ্গে নামটা মানানসই হয়েছে।
পর্দায় গুলবাহার চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন, তাঁকে কীভাবে নির্বাচন করলেন?
এটাও খুব কঠিন ছিল। যেহেতু ফেস দেখাব না, সেহেতু গুলবাহার হতে অনেকেই তেমন আগ্রহ দেখায়নি। অন্যদিকে গুলবাহারের ফেস না দেখানোর সিদ্ধান্তে আমরা অটল ছিলাম। পরে আমাদেরই এক কাছের বন্ধু পর্দার গুলবাহারকে খুঁজে দেয়। পর্দার গুলবাহার আমাদের যেভাবে সাপোর্ট করেছেন, এই গানের পুরো সার্থকতা তাঁর জন্যই। আমরা সবাই আর্টের প্রতি তাঁর নিবেদন দেখে মুগ্ধ। আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখার জন্য আমরা সবাই তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।
‘দাঁড়ালে দুয়ারে’, ‘নিঠুর মনোহর’-এর পর ‘গুলবাহার’—পরপর কয়েকটি হিট গান। কেমন লাগছে?
আমার গান এত মানুষ শুনছে, এটা স্বপ্নের মতো। আমি যে রকম লিখতে পারি, গাইতে পারি, সেভাবেই গান বানাই। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব হয়, আমার আর্টওয়ার্ক সেভাবেই মানুষের সামনে উপস্থাপন করি। মানুষের অফুরন্ত ভালোবাসা আমাকে প্রচুর উৎসাহ ও সাহস দিয়েছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ যে এত মানুষের মধ্যে আমার গান তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সামনে কী করছেন?
বেশ কিছুদিন আগে কয়েকটা গানের কাজ শুরু করেছিলাম। সেগুলোই এগোচ্ছে, অল্প অল্প করে। গানে একটু নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি।