সেই অভিনেতা এখন কোটি ডলারের মালিক
বাবার সঙ্গে অভিনয় করেই ভাগ্যের দুয়ার খুলে যায়। আর পেছনে তাকাতে হয়নি জ্যাডেন স্মিথকে। তিনি হলিউডের অস্কারজয়ী অভিনেতা উইল স্মিথের সন্তান। ১৯৯৮ সালে জন্ম নেওয়া এই তরুণ ২৮-এ পা দিচ্ছেন। আজ ৮ জুলাই এই তরুণের জন্মদিন। অভিনয় ও র্যাপ গান ছাড়া ব্যক্তিগত নানা কারণে তিনি আলোচনায় থাকেন। কিশোর বয়স থেকেই তিনি বিলাসী জীবনযাপন করেন।
জ্যাডেনের শৈশব থেকেই ইচ্ছা ছিল অভিনয়ের। সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বাবা উইল স্মিথের সঙ্গে অভিনয়ের মাধ্যমে। এই অভিনেতার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৬ সালে। তখন তাঁর বয়স আট বছর। পরে ‘দ্য পারসুট অব হ্যাপিনেস’ সিনেমাটি জনপ্রিয়তা পেলে একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের ডাক পড়ে। পরের বছর ‘দ্য ডে দ্য আর্থ স্টুড স্টিল’ ও ২০১০ সালে আলোচিত সিনেমা ‘দ্য ক্যারাটে কিড’ সিনেমা তাঁকে আরও বেশি আলোচিত করে।
পরিচিতির পরে জ্যাডেন জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে অভিনয় করে ‘দ্য ক্যারাটে কিড’ দিয়ে আলোচিত হন। সিনেমার জন্য কিশোর বয়সেই এক মিলিয়ন ডলার পারিশ্রমিক পান। তিন বছর পর ‘আফটার আর্থ’ দিয়ে প্রশংসিত হন। তবে সিনেমাটি বক্স অফিসে জায়গা ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়। জ্যাডেন তখন অভিনয়ের পাশাপাশি গান নিয়ে ব্যস্ত হতে থাকেন এবং গান লিখতে থাকেন। পরে র্যাপ গানে আলোচিত হন।
২০১৪ সালে জ্যাডেন স্মিথ গানের অ্যালবামের প্রস্তুতি নেন। তিন বছর ধরে সেটা সম্পূর্ণ করেন। সেই অর্থে গানগুলো জনপ্রিয়তা না পেলেও সিনেমায় পাওয়া জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর ডাক পড়ে অনেক লাইভ অনুষ্ঠানে। এখন রক ধারার গান নিয়েও তাঁকে ব্যস্ত দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্যাশন আইকনে পরিণত হন। তাঁর প্রকাশভঙ্গি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হতে থাকে। বদলে যায় জ্যাডেনের জীবন।
শিশু চরিত্রে জনপ্রিয়তার পর অল্প সময়েই ভক্ত তৈরি হয়ে যায়। অনেকের কৌতূহল জন্মে, উইল স্মিথের ছেলে কার সঙ্গে ডেটিং করছেন। কে তাঁর প্রেমিকা। জ্যাডেনের সঙ্গে কিশোর বয়স থেকে অনেক মেয়ের নাম জড়িয়ে যায়। সেগুলো গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে যায় মডেল, গায়িকা ও অভিনেত্রীদের নাম। তাঁদের মধ্যে ওডেসা অ্যাডলন, সুফিয়া রিচি, সাব জাদা, টেলরসহ আরও অনেকের নাম আসে। মূলত খ্যাতির কারণেই ব্যক্তিগত জীবন অগোছালো হয়ে যায়।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জ্যাডেন নিয়ে যেমন সমালোচনা হতো, তেমনি সমালোচনা হলেও চ্যারিটি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন উইল স্মিথের ‘ছেলে’। বর্তমানে তিনি প্রায় এক কোটি ডলারের মালিক। এই আয় তাঁর অভিনয় ও গানের ক্যারিয়ারের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে আসে। এ ছাড়া তিনি পোশাক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
অভিজাত জীবনযাপনের জন্য আলোচনায় আসেন জ্যাডেন। প্রায়ই শোনা যায়, জুয়ার টেবিলে লাখ লাখ ডলার খুইয়েছেন। এ ছাড়া হোটেলের ভাড়া, পার্টি ও বন্ধুদের পেছনে তাঁর খরচ বেশি। বন্ধু ও বান্ধবীদের নিয়ে প্রচুর ঘুরতে যান। তাঁর পোশাক ও স্টাইলের পেছনেও খরচ বছরে মিলিয়ন ডলারের বেশি।