পানিতে বেঁচে থাকার লড়াই, চমকে দিল যে কোরীয় সিনেমা
কোরীয় পরিচালক কিম বায়ং-উ-এর নতুন নেটফ্লিক্স ছবি ‘দ্য গ্রেট ফ্লাড’ নিয়ে মুক্তির পর থেকেই চলছে আলোচনা। ১৯ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এটি। কীভাবে এক বিধ্বংসী বন্যার মধ্য দিয়ে কয়েকজন বেঁচে থাকা মানুষ একটি পানিতে ভেসে থাকা অ্যাপার্টমেন্টে জীবনের জন্য লড়াই করে—সেটাই দেখানো হয়েছে সিনেমায়। সমালোচকেরা বলছেন, এটি বছরের অন্যতম সেরা ডিজাস্টার থ্রিলার।
গল্প ও চরিত্র
সিনেমার গল্পটির প্রেক্ষাপট ভয়াবহ এক বন্যা। কিম বায়ং-উ-এর ষষ্ঠ সিনেমায় দেখা যায়, সিউল প্লাবিত হয়েছে। কিম দা-মি অভিনীত চরিত্রটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাপ্রতিষ্ঠান থেকে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা করে, যখন পানি ক্রমশ বাড়তে থাকে। তার বিপরীতে আছেন পার্ক হ্য-সু, যিনি তাঁর গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দলের সদস্য হিসেবে এই জলমগ্ন পরিস্থিতিতে অপ্রত্যাশিত সঙ্গী হিসেবে তাঁর পাশে থাকেন।
পরিচালক কিম বর্ণনা করেন, পানির দ্বৈত চরিত্র—জীবনের উৎস ও ধ্বংসের প্রতীক—গল্পে এক বিশেষ দিক যোগ করেছে। ‘পানি জীবনের উৎস এবং আমাদের দেহের বড় অংশের উপাদান। এটি বিভিন্ন রূপ নিতে পারে। প্রথমে পানি শুধুই একটি বিপর্যয় মনে হয়, তবে সিনেমার সঙ্গে সঙ্গে এর অর্থ পরিবর্তিত হয়,’ তিনি বলেন।
অভিনেতাদের অভিজ্ঞতা
কিম দা-মি বলেন, ‘চিত্রনাট্যটি প্রথম পড়ার সময় আমার মাথায় কল্পনা করা কঠিন মনে হচ্ছিল। কী ধরনের কল্পনা তৈরি হবে তা জানতে আগ্রহী ছিলাম এবং তা কেমন হবে, সেটাও কৌতূহলী ছিলাম।’
পার্ক হ্য-সু জানান, তিনি চিত্রনাট্য পড়ার সময় ভাবছিলেন, এটি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য। ‘চিত্রনাট্য একটি গভীর বিস্ময় ছিল, যা শেষ পর্যন্ত আমাকে কৌতূহল ধরে রেখেছিল। আমি প্রকল্পটি বেছে নিয়েছি কারণ, আমি আগ্রহী ছিলাম দেখার জন্য, পরিচালক ছোট জায়গায় মানুষের প্রকৃতির পরিবর্তন কেমনভাবে দেখাবেন। আমি দেখার জন্যও আগ্রহী ছিলাম কিম দা-মি কীভাবে চরিত্রে রূপান্তরিত হবেন।’
জলমগ্ন দৃশ্যের প্রস্তুতি
সিনেমার জলমগ্ন দৃশ্যগুলোর জন্য মাসব্যাপী প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। কিম বলেন, ‘আমাদের পানির মধ্যে অভিনয় করতে হয়েছিল, তাই আমরা স্কুবা ডাইভিং শিখেছি এবং ভালোভাবে সাঁতার কাটতেও শিখতে হয়েছে। কয়েক মাস আগে আমরা একসঙ্গে শুরু করেছি।’
কোরিয়া টাইমস অবলম্বনে