এটাকে সাহসী বলার কারণ...

ঈদে ভিডিও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পাওয়া সিরিজ ‘মহানগর ২’ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। ওয়েব সিরিজটির প্রশংসায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন দর্শকেরা। গত শুক্রবার বিকেলে সিরিজের নির্মাণ ও নানা প্রসঙ্গে আশফাক নিপুনের মুখোমুখি হয় বিনোদন। যার একটি অংশ গত শনিবার ছাপা হয়েছে প্রথম আলোতে। আজ পড়ুন সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় কিস্তি।

প্রশ্ন :

‘মহানগর ২’ প্রচারের প্রশংসা পাচ্ছেন। আপনার কি মনে হয়, গল্পে যা বলতে চেয়েছিলেন ঠিকঠাকভাবে বলতে পেরেছেন?

আমি যেভাবে স্টোরি বলতে চেয়েছিলাম, মনে হয় অনেকটুকু করতে পেরেছি। দর্শকেরা হয়তো তাই বলছেন, ‘মহানগর ১’–এর চেয়ে দ্বিতীয় কিস্তির নির্মাণ অনেক ভালো হয়েছে। যদি নির্মাতা হিসেবে বলি, আমার কোনো কাজেই শতভাগ খুশি হতে পারব না। যদি আরেকটু সময় পেতাম, আরেকটু শুটিং করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আরও ভালো করার অবশ্যই সুযোগ ছিল। কিন্তু আমাদের তো ডেডলাইন থাকে। আমার নির্মাণের উদ্দেশ্যই থাকে, সহজভাবে গল্পটা দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। ওটা যদি ঠিকঠাকভাবে করতে পারি, মনে হয় যে সার্থক।

আশফাক নিপুন
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

শুটিং করেছেন কত দিন?

মোট ২১ দিন শুটিং করেছি। ঢাকা, ঢাকার বাইরে কুমিল্লা, ফরিদপুরেও কাজ করেছি। অনির্বাণ ভট্টাচার্যের অংশটুকুর শুটিং করেছি কলকাতায়। আর ওসি হারুনকে যে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল, ওটা ঢাকায় সেট বানিয়ে করা। পুরোটাই সেট।

প্রশ্ন :

‘মহানগর ২’–এ ওসি হারুনের জিজ্ঞাসাবাদের জায়গাটিকে সবাই কোনো এজেন্সির কার্যালয় ভেবেছে। এটার কোনো রেফারেন্স ছিল নাকি পুরোটাই আপনার কল্পনা?

পুরোটাই আমার কল্পনা। আমি যে সিক্রেট সার্ভিসের অফিস দেখাচ্ছি, এ ধরনের কোনো অফিস বাস্তবে আমার দেখার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনোটাই কখনোই হয়নি। নির্মাতা চেষ্টা করেন কল্পনাকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যেতে, যেখানে দর্শকেরা যেন অনুভব করেন—আসলেই বুঝি এ রকমই হয়, তখনই একজন নির্মাতার সাফল্য। এটা বিশ্বাসযোগ্যতারও ব্যাপার।

প্রশ্ন :

‘মহানগর ২’ প্রচারের পর কোন কথাটা শুনেছেন?

যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি আন্দোলিত করেছে, সবাই বলছে, ‘মহানগর ২’ নিয়ে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটাকে ছাপিয়েও তার চেয়ে ওপরে চলে গেছে। এক লাইনে বলতে গেলে, এটাই আমার জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা।

প্রশ্ন :

‘মহানগর ২’ দেখে মনে হয়েছে, এর ব্যাপকতা প্রথমটার চেয়ে বেশি। এটাকে আপনি কীভাবে সামলেছেন। কত দিনের প্রচেষ্টা ছিল?

অনেক দিনের প্রচেষ্টা। মহানগরে আমি ছোট পরিসরে গল্প বলেছি। থানার ভেতরে। ছয়টা চরিত্র ছিল শুধু। আমি জানতাম, একই ফর্মুলায় যদি দ্বিতীয়টায় গল্প বলতাম, তাহলে দর্শক আমাকে গ্রহণ করতেন না। সে জন্য আমি ভাবলাম, দর্শক কী চায়, তার চেয়ে বেশি দরকার যে দর্শককে কী দিতে পারি। নতুন কী দিতে পারি ভাবনা থেকে অনেকগুলো নতুন চরিত্রের ব্যাপ্তি। কোথাও যেন দর্শকের মনে না হয়, অল্পের ওপর দিয়ে নির্মাতা শেষ করে ফেললেন। গল্পটাকে একটু বড় করলাম। চরিত্রটাকে বড় করলাম। এখন চরিত্র সব নিলেই তো হলো না, প্রত্যেকটা চরিত্রের একটা প্রপার ল্যান্ডিং লাগে। নাহলে বেখাপ্পা লাগে। এটার পেছনে শুটিং শুরুর আগে ছয় মাস পড়ে ছিলাম আমি এবং আমার টিমের সবাই। গত বছরের জুন থেকে কাজ শুরু হয়। শুটিং শুরু করেছি জানুয়ারিতে। টানা ছয় মাস শুধু প্রস্তুতি প্রস্তুতি আর প্রস্তুতি ছিল।

আশফাক নিপুন
ছবি : সংগৃহীত

প্রশ্ন :

‘মহানগর ২’–এ আপনার কাজের প্রক্রিয়াটা দীর্ঘ ছয় মাসের। অথচ আপনার শিল্পীরা শুটিং শুরুর আগ মুহূর্তেও জানতে পারেননি কার কী চরিত্র। এটা বলছি, কারণ আপনি শিল্পীদের শুটিং শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে চিত্রনাট্য দেন। গল্পের শুরু থেকে তাঁদের যুক্ত করছেন না, শুটিংয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে চিত্রনাট্য পেয়ে তারপরও তাঁরা উতরে যাচ্ছেন কীভাবে?

এটাই আমার প্রসেস। আমি মূলত স্ক্রিপ্টটা শুটিং সেটে গিয়েই লিখি। আর্টিস্টরা আগে গিয়েও স্ক্রিপ্ট পান না, শটের আগে আগে তাঁরা পান। তখন অবশ্য রিহার্সালের সময় পান। যেটা আমি সব সময় বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে এই একটা সেক্টর, যেখানে এত ভালো ভালো অ্যাক্টর আছেন, তাঁরা কিন্তু গ্লোবালি পারফর্ম করার ক্ষমতা রাখেন—যদি ভাষার সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করতে পারেন। সেটা আমি এখানে যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, বলতে গেলে তাঁরা সবাই। আমি প্রথমেই যেটা করি, ভালো ভালো অ্যাক্টরদের নেওয়ার চেষ্টা করি। আমি যেটা স্বপ্ন দেখছি, ওটা যদি শটের আগেও দিই তাৎক্ষণিকভাবে তাঁরা উতরাতে পারে; কারণ, তাঁরা সবাই ভালো ভালো অ্যাক্টর। দ্বিতীয়ত, অ্যাক্টরদের প্রতি সব সময় একটাই ডিমান্ড থাকে, কমপ্লিটলি সারেন্ডার করতে হবে আমার কাছে। বিশ্বাস করতে হবে, আমি কোথায় নিয়ে যাচ্ছি তাঁদের। ওখানে যাঁরা সেকেন্ড গেস্ট, যাঁদের আমি স্ক্রিপ্ট দিচ্ছি না, তাঁদের হয়তো একটা কনফিউশন তৈরি হতে পারে, আমার চরিত্রটা আসলে কোথায় যাচ্ছে। আমার সবার প্রতি একটাই বলা থাকে, আমাকে কমপ্লিটলি বিশ্বাস করুন, আমি আপনার ক্যারেক্টারকে একটা জায়গায় নিয়ে চলে যাব। অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে এটাই আমার কাজের প্রক্রিয়া।

প্রশ্ন :

পুলিশ, গোয়েন্দা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীদের নিয়ে আপনি গল্পটা বলেছেন। যাঁরা দেখছেন, সবাই বেশ অবাক হচ্ছেন। বিস্ময় প্রকাশ করছেন। এটা সাহসী পদক্ষেপ বলেও কেউ কেউ বলছেন। এমনটা বলার কী কারণ বলে নির্মাতা হিসেবে আপনার মনে হয়?

দিন শেষে এটা গল্প। ফিকশন। কেউ কিন্তু ওভাবে দুটি কথা মনে রাখবেন বা দুটি কথা ভুলে যান বা আমরা আদৌ জানি না, একজন ইন্টেলিজেন্স অফিসার এভাবে কথা বলেন কি না—একটা ধাঁধা ধরি। দর্শকের একধরনের কল্পনা থাকে চরিত্রগুলোকে নিয়ে। নির্মাতারা কল্পনার সঙ্গে দর্শকের কল্পনা যখন এক হয়ে যায়—মাঝে মাঝে এই ফিকশন সত্যের চেয়েও বেশি সত্য মনে হয়। এটাকে সাহসী বলার কারণ হচ্ছে, দর্শকেরা আসলে কোথাও না কোথাও গিয়ে কানেক্ট করতে চান, নিজের গল্পটা বা আশপাশের গল্পটা দেখতে চান। যেহেতু এটা বাংলাদেশের গল্প, বাংলাদেশের চরিত্র; কাজেই এই যে আমরা আশপাশে যা দেখি, কিছুটা প্রভাব তো এই চরিত্রগুলোর ওপর থাকে। আমি সব সময় এই ধরনের গল্প বলতে পছন্দ করি। আমার মনে হয়, এই ধরনের গল্প, যে গল্পগুলো সত্যের কাছাকাছি কিছুটা, যদিও এটা ফিকশন; তারপরও বাস্তবের কাছাকাছি কিছুটা। এই ধরনের গল্প আমি বানাতে পছন্দ করি বলে বানিয়েছি। অন্যরা যদি বানাতেন সেটাও দর্শকেরা গ্রহণ করতেন। আমি বানিয়ে ফেলছি, অন্যরা বানাচ্ছে না, সে জন্যই দর্শকের হয়তো মনে হচ্ছে, অনেক সাহসী কাজ করে ফেলেছি।

‘মহানগর ২’–এ মোশাররফ করিম
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

প্রশ্ন :

আপনি এই ধরনের গল্পগুলো সচেতনভাবে বেছে নেন?

নির্মাতা হিসেবে আমি তো একজন শিল্পীও। তাই কোথাও না কোথাও দর্শকের প্রতি, সমাজের প্রতি একটা দায়বদ্ধতা আছে। আমার যে ধারণাটা সব সময় কাজ করে, আমি সে সময়টাকে ধারণ করতে চাই। আমরা এখন যে সময়টার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি বা যে সময়টা আমাদের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে—এ সময়টা আমি আমার ক্যানভাসে রেখে দিতে চাই। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন যেমন চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষের ছবি আঁকছিলেন, ওটা দিয়ে তিনি ওই সময়কে ধারণ করেছেন। অথবা আমি যদি জহির রায়হানের কথা বলি, ‘জীবন থেকে নেয়া’—ওটাও সময়কে ধারণ করা। আমার মনে হয় সময়ের প্রতি সৎ থাকা এবং সময়কে ধারণ করাটাই হচ্ছে সময়ের দায় মেটানো। আমাকে এটাই চালিত করে গল্প বলার ক্ষেত্রে। ‘মহানগর’ ও ‘মহানগর ২’–এর বেলায় একই ব্যাপার ঘটেছে। আমার অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও তা–ই ঘটেছে।

প্রশ্ন :

রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় নিরপরাধীকে ভিকটিম বানানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর রাজনীতিবিদদের প্রভাব খাটানো, অস্ত্র উদ্ধারের নামে ক্রসফায়ার, ঘুষ-দুর্নীতি, ধর্ষণসহ নানা ইস্যু তুলে এনেছেন। নির্মাতা হিসেবে এটা দেখাতে গিয়ে কি কোনো চাপ বোধ করেছেন?

চাপ যদি বলি, দিন শেষে তো আমি আসলে একটা গল্পই বলতে চেয়েছি। গল্পটা ঠিকঠাকভাবে বলতে পারাটাই চাপ। চরিত্রগুলো তো কাল্পনিক।

প্রশ্ন :

কিন্তু এই কাল্পনিকতার মধ্যে তো এমন কিছু সমসাময়িক বিষয় তুলে আনছেন, তা সচরাচর আমাদের এখানে দেখা যায় না?

এখানে একটা কথা যদি বলি, চাপটা যেটা থাকে, যত না আমি দর্শকদের, দর্শকেরা দিন শেষে একটা গল্প দেখতে চান। দিন শেষে দর্শকেরা কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা দেখতে চান না। তাঁরা যেটাই দেখতে চান, গল্পের মোড়কেই দিতে হবে। চাপ সব সময় ওটাই থাকে, আমি গল্পটা বলতে পারছি কি না। আমি কী বলছি, না বলছি, কী বলতে চাই বা না বলতে চাই—ওটা গল্পই ঠিক করে দেয়। গল্পটা যেন ঠিক থাকে এটাই একধরনের চাপ। কোনো কাজই একদম শতভাগ কাউকে খুশি করতে পারে না। ‘মহানগর’–এর মতো কাজ সব পক্ষকে খুশি করতে পারবে না। যদিও আমরা চাই, কোনো কাজ করার সময় সব পক্ষই খুশি থাকুক, সব পক্ষই আনন্দে গ্রহণ করুক—এটা আসলে পৃথিবীর কোনো কাজেই হয় না।

আরও পড়ুন
সিরিজটি নির্মাণ করেছেন নির্মাতা আশফাক নিপুন
ছবি: ফেসবুক

প্রশ্ন :

‘মহানগর’ আসলে কোন পক্ষকে বেশি খুশি করেছে, কোনো পক্ষ অখুশি হয়েছে বলে মনে করছেন?

আমি তো আসলে ওভাবে ধরিনি, কোন পক্ষ বেশি খুশি হয়েছে। এটা হচ্ছে কি, কোনো রান্না করলে চাই যে সবাই প্রশংসা করুক। নানাবিধ কারণে সেটা সবার ভালো না–ও লাগতে পারে। কনটেন্টের বেলায়ও আমি বানানোর সময় চেয়েছি, সবাই সমানভাবে অ্যাপ্রিশিয়েট করুক। কিন্তু আমি জানতাম, সবার হয়তো একই রকম পছন্দ হবে না এবং সেটা না হওয়াটাই স্বাভাবিক। ওদের কেন পছন্দ হলো না, কোনো গোষ্ঠী খেপে গেল কি না—এটা আমি ভাবিও না।

প্রশ্ন :

ওসি হারুন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র। তাকে আপনি দুই রূপে দেখিয়েছেন। অমানবিক আবার একই সঙ্গে মানবিকও। হারুনকে যখন ভালো হতে দেখলাম, তাকে মেরে ফেলা হলো। এটা দিয়ে আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন?

আমাদের চরিত্রের কিছু লিমিটেশনসও আছে, সীমাবদ্ধতাও আছে। ওসি হারুনেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, আমরা বলি যে চূড়ান্ত মাত্রায় অসৎ। কিন্তু আবার একই সঙ্গে মানবিক। ওসি হারুন যখন তার সঙ্গে কম ক্ষমতাশালী কারও সঙ্গে থাকে, তাঁকে খুব বেশি ভোগায় না। এটা আমরা দুটি সিজনেই দেখেছি। এখন হারুন যে গুলি খেল, এটা আসলে কেন তা দেখা যাবে ‘মহানগর ৩’–এ। কী বোঝাতে চেয়েছি, এটা পুরোপুরি দর্শকের ওপর ছেড়ে দিয়েছি, ওরা যা বোঝার বুঝুক। আমি বলে দিলে জিনিসটা বলে দেওয়া হবে। আমি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখছি যে অনেকেই বলছেন, ওসি হারুন ফেরত আসবেন। অনেকে বলছেন, তাঁকে হয়তো এসআই মলয় আবার হাসাপাতালে নিয়ে যাবেন। অনেকে বলছেন, হারুনদের পরিণতি এ রকমই হয়, মানবিক হতে চাইলেও হওয়া যায় না। আমি আসলে উপভোগ করছি দর্শকের কল্পনা। সবাই যার যার মতো করে ভাবুক।

প্রশ্ন :

পরবর্তী প্রজেক্ট কবে আসবে?

আমি ও আমার টিম আসলে ‘মহানগর ২’ এত খেটে বানিয়েছি, সেটার যে ফল পাচ্ছি, সেই ফলটা আগামী এক মাস উপভোগ করতে চাই, উদ্‌যাপন করতে চাই।

প্রশ্ন :

চলচ্চিত্র বানানো শুরু করবেন কবে?

আমাকে অনেকে এমনও বলেছেন, ‘মহানগর’ ও ‘মহানগর ২’ সিরিজ না বানিয়ে এই গল্প দিয়ে যদি ফিল্ম বানাত তাহলে দর্শক হয়তো তালি দিত প্রেক্ষাগৃহে, সিটি বাজাত। বড় পর্দায় তো আরও সুন্দরভাবে দেখা যেত। আমি আগামী বছর চলচ্চিত্র বানাব। এর বেশি দেরি করতে চাই না। ২০২৪–এ চলচ্চিত্র নিয়ে হাজির হতে চাই।