এটা জরুরি ছিল: খিলখিল কাজী

কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ সম্মানে ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে নজরুল–দৌহিত্রী, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংগীতশিল্পী খিলখিল কাজীর সঙ্গে কথা বলেছে ‘বিনোদন’

প্রথম আলো:

কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ সম্মানে ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

খিলখিল কাজী: এটা নিয়ে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই কথা বলেছি। কেন তাঁকে (কাজী নজরুল ইসলাম) এখনো ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে গেজেট প্রকাশ করা হয়নি, এটা নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই কাজ করেছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সব সময়ই আমরা ব্যর্থ হয়েছি। সরকারের ইচ্ছা থাকলে এটা আরও আগে হতো। তবে সেটা করা হয়নি।

অবশেষে এই সরকার এটা করছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়, আমরা গর্বিত বোধ করছি। এটা হওয়া অত্যন্ত জরুরি ছিল। কারণ, জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম নথিভুক্ত না হলে আজ থেকে ২০০ বছর পর নতুন প্রজন্ম তাঁকে ‘জাতীয়’ কবি হিসেবে জানতে পারত না। তারা জানতে পারত না, তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি ছিলেন। গেজেটের প্রস্তাব অনুমোদন করায় নতুন সরকারকে অনেক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে খিলখিল কাজীসহ পরিবারের সদস্যেরা
ছবি: সংগৃহীত
প্রথম আলো:

আগের সরকার এত দিনেও করেনি কেন?

খিলখিল কাজী: আমরাও জিজ্ঞাসা করেছি, তবে কেউই এ উত্তর দিতে পারেনি। তখন বুঝতে পেরেছিলাম, কোনো কিছুর ব্যাপারে কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে একটু অসুবিধা ছিল। হয়তো সেভাবেই বিবেচনা করেছিল। হয়তো মেনে নেয়নি, সেটা মেনে নিলে অনেক আগেই এটা করা হতো।

প্রথম আলো:

এ সরকার নজরুল ইসলামকে নিয়ে কতটা আন্তরিক?

খিলখিল কাজী: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। আমি এখন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আগে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ছিলাম। নজরুলকে নিয়ে কাজের বিষয়ে সরকার অনেক পরিকল্পনা করছে। এর মধ্যে গেজেটের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছে।

কাজী নজরুল ইসলাম তরুণদের মধ্যে আছেন। সেই প্রমাণ আন্দোলনেও পাওয়া গেছে। কাজী নজরুল ইসলামের গান এ আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে। যত দিন অন্যায়, অবিচার থাকবে, তত দিন কাজী নজরুল ইসলামের গান থাকবে। এ আন্দোলনে তরুণেরা তাঁর গানকে নিজের করে নিয়েছে। এটা আমাদের জন্য ভালো লাগার ছিল।

প্রথম আলো:

কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নজরুলের গান নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?

খিলখিল কাজী: তরুণদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলামকে ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করব। প্রান্তিক এলাকায় আমরা নজরুলের ওপর সেমিনার আয়োজন করব।

আরও পড়ুন