সিডনিতে মনোমুগ্ধকর লোকগীতির আসর

সিডনিতে বসেছিল বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকগীতি অনুষ্ঠানের আসর। ছবি: প্রথম আলো

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকগীতি উৎসবের অষ্টম আসর। গত শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় সিডনির ক্যাসুলা পাওয়ারহাউস আর্ট সেন্টারে বসে ‘ময়ূর পঙ্খী নায়’ শিরোনামের এবারের আয়োজন।

আরও পড়ুন

এদিন মিলনায়তন ছিল দর্শক উপস্থিতিতে পূর্ণ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ঘরানার লোকগীতি পরিবেশন করেন প্রবাসী বাংলাদেশি সংগীতশিল্পীরা। এ সময় হলভর্তি দর্শক সারিতে ছিলেন সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশিরা।

আয়োজনের দিন দুপুর থেকেই বৃষ্টির দেখা মেলে সিডনিতে। অনুষ্ঠানের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে বৃষ্টি। একই সঙ্গে শীতের অনুভবও বাড়তে থাকে। এসব উপেক্ষা করে বাংলা লোকসংগীতের টানে উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন বাংলাদেশি দর্শক-শ্রোতারা। অনুষ্ঠান শুরু হয় দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে। এরপর একে একে বাউল, জারি, সারি, ভাওয়াইয়া ও পল্লিগীতি পরিবেশনা উপভোগ করেন দর্শক-শ্রোতারা।

গানের পর্বের শুরুতেই শ্রোতাদের যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন সিডনির বাংলাদেশি তবলাবাদক বিজয় সাহা। এরপর গান পরিবেশন করেন প্রবাসী সংগীতশিল্পী ফারিয়া আহমেদ, লামিয়া আহমেদ, বনফুল বড়ুয়া ও নিলাদ্রী চক্রবর্তী।

অনুষ্ঠানে সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। ছবি: প্রথম আলো

প্রতিটি গানের পরিবেশনা নীরবতায় উপভোগ করেছেন বাংলাদেশিরা এবং গান শেষে করতালিতে মুখর হয়ে উঠেছিল আয়োজনস্থল। গানের তালে নৃত্য পরিবেশন করেন অর্পিতা সোম চৌধুরী। অনুষ্ঠানের একাংশে সিডনিপ্রবাসী বাংলাদেশি গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশের বাউল আখড়ার আদলে বিভিন্ন নকশি আবহে সাজানো মঞ্চ এবং সংগীতশিল্পীদের পরনে বাহারি নকশি কাপড়েরও প্রশংসা করেছেন দর্শকেরা। অনুষ্ঠান উপভোগ শেষে প্রবাসী বাংলাদেশি প্রকৌশলী সাজ্জাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘সবাই আমরা অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত উপভোগ করেছি। গ্রামবাংলার প্রাচীন লোকসংগীতের এমন সুন্দর আয়োজন সিডনিতে একদমই আলাদা। আর প্রত্যেক শিল্পীর গান একদম মন শীতল করে গেছে। অনুষ্ঠান শেষ হলেও ঘোর কাটেনি আমাদের। সত্যি অসাধারণ গেয়েছেন তাঁরা।’ অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান আয়োজন সংগঠক ভবের হাটের কর্ণধার ফারিয়া আহমেদ।