নতুন প্রজন্মের কণ্ঠে পুরোনো বাংলা গান

অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন নন্দিতা, শুভেন্দু ও অনিমেষ। ছবি: আয়োজকদের সৌজন্যে

ঠিকানা ১৩৮ ইস্ট, গুলশান–১। রাজধানীর গুলশান–১–এর ১৩৮ নম্বর রোডে এর অবস্থান। আগে রেস্তোরাঁ ছিল। এখন ফাঁকা। সেখানে প্রায় ২০০ আসন বসিয়ে দারুণ এক সংগীতসন্ধ্যার আয়োজন দেখা হলো গত শুক্রবার সন্ধ্যায়। দর্শনীর বিনিময়ে প্রায় দুই ঘণ্টা দর্শক শুনলেন বাংলা গান। নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের কণ্ঠে চিরায়ত, পুরোনো দিনের বাংলা গান।

নন্দিতা ও শুভেন্দুর গানের দল মোজি অ্যান্ড কোম্পানি ও শিল্পী অনিমেষ রায়কে নিয়ে এই পরিবেশনার নাম ছিল ‘তারা আনপ্লাগড’। কখনো নন্দিতা ও শুভেন্দু, কখনো অনিমেষ আবার কখনো তিনজন মিলে গান গেয়েছেন। সবই বাংলা গান এবং তা পুরোনো আমলের। তাঁরা একে এক গেয়ে শোনান ‘ময়ূরকণ্ঠী’, ‘দাঁড়ালে দুয়ারে’, ‘আকাশ এত মেঘলা’, ‘এ গানে প্রজাপতি’, ‘নাসেক নাসেক’, ‘ভবের দেশ’, ‘লাল পাহাড়ের দেশে’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গান। তিনজনে মিলে গাইলেন ‘আহা কী আনন্দ’, ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’। প্রতিটি পরিবেশনা আধুনিক যন্ত্র সংগতে হয়ে উঠেছিল হৃদয়ছোঁয়া।

নন্দিতা ও শুভেন্দুর গানের দল মোজি অ্যান্ড কোম্পানি ও শিল্পী অনিমেষ রায়কে নিয়ে এই পরিবেশনার নাম ছিল ‘তারা আনপ্লাগড’। আয়োজকদের সৌজন্যে

শিল্পীরা যেমন নতুন প্রজন্মের, তেমনি বাদ্যযন্ত্রীরাও এই প্রজন্মের। সরোদ বাজিয়েছে ফুলঝুরি। সে মাত্র দশম শ্রেণিতে পড়ছে। এসএসসির টেস্ট পরীক্ষার ফাঁকেই সে পারফর্ম করে। আর অন্য যন্ত্রীরা ছিলেন বাঁশিতে কামরুল, স্যাক্সোফোনে রাহিন, কি–বোর্ডে অন্তর, গিটারে মাতিস ও ড্রামসে সুদীপ্ত।
‘তারা’ একটা প্রচারণা। ‘আনপ্লাগড’ একটা আয়োজন। বাংলা গান নিয়ে আরও আয়োজন করবে ‘তারা’। ‘তারা’র প্রতিষ্ঠাতা ও স্বপ্নদ্রষ্টা জান্নাতুল ফেরদৌস মুন বলেন, ‘আমাদের এই “তারা” প্রচারণার উদ্দেশ্য বাংলা সংস্কৃতিকে বর্তমান প্রজন্মের হাত দিয়ে তুলে ধরা। ইয়াং স্টার বা প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পীদের মাধ্যমে বাংলা গানকে উপস্থাপন করতে চাই কিছুটা নতুন আঙ্গিকে। এটাকে আমরা নতুন তারকাদের এটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’

জান্নাতুল ফেরদৌস আরও জানালেন, ধীরে ধীরে ‘তারা’র পরিসর বাড়বে। আগামী ডিসেম্বরে আরও দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ‘তারা’। সেসবে শিল্পী কারা থাকবেন, তা তোলা থাক আগামী অনুষ্ঠানের জন্য।

আরও পড়ুন