বালাম বললেন, কী করেছি, এখনই কিছু বলতে চাই না...
‘প্রিয়তমা’ ছবির ‘ও প্রিয়তমা’ গানটি গেয়ে নতুন করে আলোচনায় আসেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বালাম। গত বছর জানা যায়, সিনেমার গান গেয়ে নতুন করে আলোচনায় আসা বালাম সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন। তবে সেই সিনেমার ব্যাপারে সংগীতশিল্পী বালাম, ছবির মিঠু খান কেউই কোনো তথ্য দেননি। একটি পোস্টারে বালামের চেহারা বোঝা গেলেও সে নিয়ে খুব বেশি কিছু বলতে চাননি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত হলো, ‘নীলচক্র’ ছবিতে অভিনয় করছেন বালাম। ‘এই শহরের অন্ধকারে’ শিরোনামে একটি গান প্রকাশের পর বালামকেও দেখা গেছে। পরিচালকও আজ শুক্রবার সকালে জানালেন, ‘সংগীতশিল্পী বালাম আমাদের এই ছবির গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্র।’
‘নীলচক্র’ ছবিটির প্রধান চরিত্রের অভিনেতা আরিফিন শুভ। গত বছর ছবিটির ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে। পোস্টারে শুভর চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন পরিচালক। সম্প্রতি টিজারও প্রকাশিত হয়। তাতে শুভর উপস্থিতি সবাইকে চমকে দেয়।
এদিকে ‘নীলচক্র’ ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি দুটি গানের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে বালামের নাম। একটি গান সুর ও সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি গেয়েছেন তিনি, যে গানের কথা রবিউল ইসলাম জীবনের। আরেকটি গানের শুধু সংগীতায়োজন করেছেন, যেটি গেয়েছেন র্যাপার সাফায়েত, গতকাল সন্ধ্যায় যা প্রকাশিত হয়েছে। গাইবার পাশাপাশি গানটির কথা লিখেছেন শাফায়েত। সিনেমার গানের ভিডিওতে বালামের পাশাপাশি শাফায়েতও রয়েছেন।
গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকায় টানা দুই দিন ‘নীলচক্র’ ছবির শুটিংয়ের অংশ নেন বালাম। সংগীতশিল্পী বালামের জন্য বড় পর্দায় অভিনয় এবারই প্রথম। নতুন অভিজ্ঞতা। সংগীতজীবনে বালামকে ছোট পর্দায় টুকটাক দু-একটি নাটকে দেখা গেছে। কখনো আবার স্ত্রীসহ টেলিভিশন নাটকে হাজির হয়েছিলেন তিনি। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কাজটি বালাম বেশ উপভোগ করেছেন বলে জানা গেছে। তবে ছবিতে বালামের চরিত্র প্রসঙ্গে পরিচালক জানালেন, ‘তাঁকে আমরা একজন ডিজে হিসেবে দেখতে পাব। আপাতত এর বাইরে আর কিছুই বলব না। তবে এটুকু বলতে পারি, সংগীতশিল্পী বালামকে দেখে সবাই চমকে যাবেন।’
অল্প কথায় বালাম বললেন, ‘কী করেছি, এখনই কিছু বলতে চাই না। তবে এমন কিছু হয়েছে, যা আগে হয়নি। দেখা যাক, সবাই অপেক্ষা করি।’ পরিচালক মিঠু খান এর আগে ‘অচেনা হৃদয়’ নামের একটি ছবি বানিয়েছেন। এবার তিনি বানিয়েছেন ‘নীলচক্র’, যেটি আগামী পবিত্র ঈদুল আজহায় মুক্তি পাবে।
বালামের ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে মিঠু খান বললেন, ‘ছবির একটি চরিত্রে একজন সংগীতের মানুষের দরকার ছিল। আমরা এমন একজনকে চেয়েছিলাম, যাঁকে দিয়ে বিষয়টি সঠিকভাবে পর্দায় তুলে আনা সম্ভব। বালাম ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়, ভাবনাটা তাঁর খুব পছন্দ হয়। আনন্দে প্রস্তাব গ্রহণ করেন। তাঁকে পেয়ে আমাদেরও কাজটি অনেক সহজ হয়ে যায়।’
কথায় কথায় মিঠু খান জানালেন, ‘চরিত্রটি নিয়ে আমরা তিন মাসের বেশি সময় বালাম ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। শুটিংয়ে সময় মনে হয়েছে, আমরাও শতভাগ পেয়েছি। কখনো মনে হয়েছে, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি।’