১৬ বছর পরে ‘ও টুনির মা’ গান নিয়ে বাধার মুখে গায়ক প্রমিত

সংগীতশিল্পী প্রমিত কুমার। ছবি: ফেসবুক

২০০৯ সালে হঠাৎ আলোচনায় আসেন নরসিংদীর তরুণ এক গায়ক। সেবার বৈশাখে রিলিজ হয় তাঁর ‘বউ আমার চেয়ারম্যান’ নামের অ্যালবাম। সেই অ্যালবামের ‘ও টুনির মা তোমার টুনি কথা শোনে না’ গানটি দেশজুড়ে রীতিমতো ছড়িয়ে পড়ে। একটি গানই শিল্পী প্রমিত কুমারকে জনপ্রিয় করে তোলে। এখনো গানটি তাঁর প্রিয়। এই পছন্দের গান নিয়েই বিপাকে পড়েছেন প্রমিত। গানটি নিজের ইউটিউবে প্রকাশ করা নিয়েই বারবার জটিলতায় পড়তে হয়েছে।

প্রমিত জানান, বাংলাদেশের আইন মেনেই গানটি তাঁর নামে কপিরাইট করানো। ২০২৩ সালে সেই গান তিনি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশও করেছিলেন। ‘গানটির সবকিছুই বৈধ ছিল। নিজের চ্যানেলে আপলোড দিলাম। তার পর থেকেই দেখি, গানটি নিয়ে ভারত থেকে একজন কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগ দিয়েছিলেন। তখন মনে হয়েছিল ঝামেলা না করি। গানের সংগীতের কিছু অংশে কপিরাইটের প্রশ্ন তুলেছিলেন। পরে সেগুলো ফেলে নতুন করে গানটি করার কথা ভাবি।’

সংগীতশিল্পী প্রমিত কুমার নতুন করে গেয়েছেন গানটি । ছবি: ফেসবুক

বেশ কিছুটা সময় নিয়ে নতুনভাবে গানটির রেকর্ডিং করেন প্রমিত। এতে পরিচিত সুরও ফেলে দিতে হয়। প্রমিত বলেন, ‘দীর্ঘদিনের প্রচলিত সুরের কিছু অংশও ফেলে দিই। এটা ছিল আমার জন্য কষ্টের। তারপরও নিজের গানটি নতুন করে রেকর্ডিং করি। পরে গতকাল শুক্রবার গানটি প্রকাশ করেছিলাম ইউটিউবে। আজ হঠাৎ দেখি, সেই একই অভিযোগ। এবার আর মাথা নত করব না। এবার গানটি নিয়ে ইউটিউবেই আপিল করব। যেখানে সব ঠিক রয়েছে, সেখানে গানটি নিয়ে অদৃশ্য শক্তি ভারত থেকে কেন এমন করছে, বুঝতে পারছি না।’

সংগীতশিল্পী প্রমিত কুমার। ছবি: ফেসবুক

প্রমিত জানান, গানটি দিয়ে একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন অবৈধভাবে আয় করছে। টাকার লোভের কারণেই তারা বারবার মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে। ‘আমি তো আগে ইউটিউবে গান নিয়ে সরব ছিলাম না। যে কারণে গানটির স্বত্ব আমার নামে থাকার পরেও গানটির নিয়ন্ত্রণ তাদের কাছে ছিল।’ এই সময় তিনি আরও বলেন, ‘আমার গানটি নিয়ে যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে কনটেন্ট ওনার নির্ভানা মিউজিক। গানের গায়ক শিবু। নিজের সৃষ্টি অন্য আরেকজন টাকার লোভে টানাটানি করছে। এর চেয়ে বিব্রতকর আর কী হতে পারে।’

আরও পড়ুন
সংগীতশিল্পী প্রমিত কুমার। ছবি: ফেসবুক

এ সময় গানটি নিয়ে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে জানান এই গায়ক। তিনি বলেন, ‘গানটি নিয়ে আমার অনেক অভিমান ছিল। কয়েকজন মানুষ এ গানটি থেকে আয় করে খাচ্ছে। তারা আমাকে কখনোই কোনো অংশ দেয়নি। যে কারণে আমি দীর্ঘদিন গানটি নিয়ে কোনো খোঁজখবর রাখিনি। তবে এখন আর ছাড় দিতে চাই না। প্রকৃত মালিক হয়ে বোকার মতো আর বসে থাকব না। আমি প্রতিবাদ করে যাব।’