‘ভারতীয় সিনেমার এক নম্বর জায়গা দখল করে নেবে কলকাতা’

কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী করেন অমিতাভ বচ্চনভাস্কর মুখার্জি

একদিন ভারতের চলচ্চিত্রের নতুন ঠিকানা হবে এই কলকাতা। কলকাতা শহরে আমি সাহিত্য থেকে সিনেমা অনেক কিছুই শিখেছি। আমার চাকরি জীবন শুরু এখানে। জীবনের বড় একটা সময় কাটিয়েছি এই শহরে। এটি আমার ভালো লাগার শহর। এই শহর আমাকে ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছে। এখনো ডাক পেলেই ছুটে আসি। এখানে আসতে পারলে আমি আনন্দিত হই।’ কলকাতার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কলকাতার জামাই বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন।
শুরু হয়ে গেল ২৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে প্রদীপ জ্বালিয়ে এই উৎসবের উদ্বোধন করেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, শাহরুখ খান, জয়া বচ্চন, শত্রুঘ্ন সিনহা, কুমার শানু, রানী মুখোপাধ্যায়, অরিজিৎ সিং, মহেশ ভাট, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়সহ সিনেপাড়ার একঝাঁক তারকা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। সংগীত পরিবেশন করেন ওস্তাদ রশিদ খান, অরিজিৎ সিং, কুমার সানুসহ প্রখ্যাত শিল্পীরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী।

অমিতাভ বচ্চন
ভাস্কর মুখার্জি

অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতা। এখানে অনেক বড় বড় তারকার জন্ম হয়েছে। তাঁরা বিশ্বে কলকাতার মুখ উজ্জ্বল করেছেন। কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি তাঁদের স্মরণ করছি। তিনি আরও বলেন, কলকাতার সিনেমা একদিন বলিউড-হলিউডের সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দেবে এবং ভারতীয় সিনেমার এক নম্বর জায়গা দখল করে নেবে।’

অতিথি হিসেবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর কলকাতা এলাম। প্রিয় শহর কলকাতায় এসে সবাইকে দেখতে পেরে দারুণ আনন্দ লাগছে। কলকাতা আমার একটি পরিবার। আশা করি এই কলকাতা একদিন চলচ্চিত্রে ভারতের পীঠস্থান হবে।’

‘অভিমান’–এ জয়া ও অমিতাভ

উৎসবে উদ্বোধনী ছবি হিসেবে দেখানো হয় অমিতাভ-জয়া বচ্চন অভিনীত ছবি ‘অভিমান’। অমিতাভ বচ্চনের ৮০ বছর পূর্ণ করায় তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রদর্শন করা হয় হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ১৯৭৩ সালের এই ছবিটি। উৎসবে ৪২টি দেশের ১৮৩টি ছবি প্রদর্শিত হচ্ছে। ছবির শো হবে ২৩১টি। ছবি দেখানো হবে ১০টি প্রেক্ষাগৃহে। দেওয়া হবে এবারও সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা সংগীত পরিচালক, সেরা কণ্ঠশিল্পী, সেরা অভিনেতা ও অভিনেত্রী এবং ফিচার ফিল্মকে পুরস্কার।

শাহরুখ খান

৮ দিনব্যাপী আয়োজিত এই উৎসব শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের তিনটি ছবি প্রদর্শিত হবে। মুহম্মদ কাইউম পরিচালিত ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’, ফাখরুল আরেফিন খান নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ছবি ‘জেকে ১৯৭১’ এবং মেজবাউর রহমান সুমনের ‘হাওয়া’। ‘হাওয়া’ গত মাসে কলকাতায় আয়োজিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে সাড়া ফেলেছে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন
আরও পড়ুন